নেত্রকোণার বারহাট্টায় হাতুড়ে চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে মারা যাওয়া প্রসূতি ও নবজাতকের ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে রোববার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা চৌধুরীর উপস্থিতিতে মরদেহ দুটি তোলা হয়।
বারহাট্টা উপজেলার সহকারী কমিশনার সানজিদা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) সাইদুর রহমান, বারহাট্টা থানার ওসি লুৎফুল হক, সিংধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিম তালুকারও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা চৌধুরী জানান, আদালতের নির্দেশে মা-সন্তানের মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বারহাট্টা থানার ওসি লুৎফুল হক বলেন, ‘মামলার প্রেক্ষিতে ওই প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর কারণ জানতে গত শনিবার লাশ তোলার জন্য আদালতে আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
অভিযোগ আছে, গত বুধবার দুপুরে চন্দ্রপুর গ্রামে আবুল কাশেম নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতি শরীফা আক্তার ও নবজাতকের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া শরীফার স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় চিকিৎসক আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করে গত শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মারা যাওয়া শীরফা আক্তার চন্দ্রপুর গ্রামের হাইছ উদ্দিনের মেয়ে এবং সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর উপজেলার নামাগাঁও গ্রামের মহসিন মিয়ার স্ত্রী।
আর অভিযুক্ত চিকিৎসক আবুল কাশেম বারহাট্টার জীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা।