ঢাকায় রাস্তার জন্য মাত্র ৬ শতাংশ জায়গা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তা না হলে তো সব জায়গায় ঘর করে ফেলত। হাঁটার জায়গা থাকত না।
‘সব জায়গায় তো আবাসন, স্কুল হবে না। এটা নির্দিষ্ট করতে হবে। আবাসন তো সব জায়গায় লাগবে না। ঢাকা শহরে কি সারা দেশের মানুষ থাকবে। প্রতিদিন ঢাকা শহরে পাঁচ হাজার লোক আসে। কারণ ঢাকা শহরে সব সুবিধা আছে।’
সচিবালয়ে রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রাজধানীর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির জন্য মোটামুটি প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জলাবদ্ধতা আমাদের জাতীয় ইন্ট্রিগ্রেটের একটি অংশ। আমি যদি ঢাকা শহরের কথা বলি, সেখানে খালগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরের পর তারা কিছু অবৈধ উচ্ছেদ করেছে। কিছু কিছু খাল সংস্কার করেছে। তাতে করে গত বছর আমরা অবস্থার কিছু উন্নতি লক্ষ করেছি। এ বছর এই প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা জানেন কয়েকটা খালে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে আমরাও অংশ নিয়েছি। তাই স্বাভাবিকভাবে আমরা মনে করি এ বছরও আমরা মোকাবিলা করতে পারি। জলবায়ুর ওপর তো কারও হাত নেই।
‘অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি কখনো কখনো পৃথিবীর সব দেশেই হয়। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি মোটামুটি আছে।
‘আমাদের বড় নদীগুলোতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। নিচু দেশ হিসেবে অনেক নদীর চ্যানেল রয়েছে, এতে আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। মাঝে মাঝে আমাদের দেশে বন্যা হয়। বন্যা হলে সব সময় অভিশাপ নয়, আশীর্বাদও হয়। কারণ অনেক পলি বয়ে নিয়ে আসে। আমাদের ভূমি উর্বর, মানুষ সচেতন, সঠিক নেতৃত্ব যে কারণে আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম।’
অপরিকল্পিত নগরায়ণের নানা সমস্যাও তুলে ধরেন মন্ত্রী তাজুল। তিনি বলেন, ‘একটি আদর্শ নগরীতে কতটুকু হাউজিং হবে, কতটুকু খেলার মাঠ, রাস্তা, পার্ক, পানির ব্যবস্থা লাগবে তা রাখতে হবে। আমরা যখন ডিটেল এরিয়া প্ল্যান করতে যাই, তখন এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে।
‘দেশের জনগণ, মিডিয়া, প্রশাসন এগুলো হলো শক্তি। এইসব শক্তি একসঙ্গে না হলে কোনো কিছু পাওয়া যায় না।
‘গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। স্কুল সমস্যা ছিল, অনেক স্কুল হয়েছে। স্বাস্থ্যের সমস্যা ছিল, অনেক কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে। এ জন্য আমাদের সব সুযোগ-সুবিধাগুলো সব জায়গায় পৌঁছাতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে আমাদের সতর্ক হতে হবে। গ্রাম নিয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে। আর আমাদের অর্থনীতির অবস্থা আরও উন্নতি হলে গ্রামেও গাড়ি বেড়ে যাবে।
‘তখন সেখানে রাস্তা বাড়াতে হবে। তাই পরিকল্পনা নিয়ে নগরায়ণ করা উচিত। এ জন্য আমরা ডিটেল এরিয়া প্ল্যান তৈরি করেছি।’