রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবং আত্মীয় স্বজনদের পরিচয় বা রেফারেন্সে কোনো প্রকার অবৈধ সুযোগ-সুবিধা প্রদান না করতে নির্দেশনা দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
রোববার রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব (যুগ্ম-সচিব) মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনা জারি করা হয়।
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় দাবি করা তিন ব্যক্তি ট্রেনের এসি কামরায় বিনা টিকিটে ভ্রমণ করছিলেন, তখন টিটিই তাদের কাছে টিকিট না পেয়ে জরিমানা করেন। তারা মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেয়ার পরও জরিমানা করায় পরের দিনই জরিমানা করা ওই টিটিইকে বরখাস্ত করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রী ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন। প্রথমে তিনি জরিমানা করা ওই তিন ব্যাক্তিকে চেনেন না বলে জানান। পরে অবশ্য আত্মীয় হিসেবে স্বীকার করলেও রেলমন্ত্রী দাবি করেন, তিনি তাদের বরখাস্তের আদেশ দেননি বলে জানান।
এমন অবস্থায় নতুন জারি করা নিদর্শনায় বলা হয়, সম্প্রতি আবারও পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের অগোচরে তাদের রেফারেন্সে আত্মীয়-পরিবারের সদস্য বা বন্ধু অথবা স্বাক্ষ্যপরিচিতি উল্লেখ করে বিভিন্ন রেল স্টেশনে টিকিট দাবিসহ ট্রেনে উঠে বিশেষ সুবিধা দাবি করছেন।
আরও বলা হয়, অনেকেই মন্ত্রী মহোদয়ের একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের কাছে আত্মীয় পরিচয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকদের কাছ হতে বিভিন্ন প্রকার অবৈধ সুযোগ-সুবিধার জন্য মোবাইল ফোনে যোগযোগ করছেন মর্মে অবগত হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে মন্ত্রী মহোদয়কে অবহিত করা হলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করার পাশাপাশি মোবাইল নম্বরগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়ে তাদের সঠিক পরিচয় জানার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ধরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভ্রান্ত না হতে এবং দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে কোনো কর্মকাণ্ড না করার নির্দেশ দেয়া হয় ওই প্রজ্ঞাপনে।
এর আগেও রেলে এমন সব সুবিধা বন্ধ করতে চিঠি দেয়া হয়েছিল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।