আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মার্কেট নির্মাণ করতে রাজধানীর গুলিস্তানের হকার্স মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গুলিস্তানের হকার্স মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
এই মার্কেট ভেঙে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১০ তলা মার্কেট করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করেন ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এর আগে তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে।
মার্কেটের তানজিল ফ্যাশনের দোকান মালিক আব্দুল মালিক বলেন, ‘আগে নোটিশ দেয়া হয়েছে, কিন্তু আমরা বুঝিনি যে আজই উচ্ছেদ অভিযানে আসবে তারা। তাদের উপস্থিতি দেখে আমরা দোকানের মালামাল সরিয়ে নিয়েছি।’
এদিকে মা খেলাঘর দোকানের মালিক ইব্রাহিম বলেন, ‘ঈদ করে কাল গ্রাম থেকে ফিরেছি। আজ এখানে সিটি করপোরেশনের লোকজন এসেছে, আমরা মালামাল সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু আমাদের বেশি সময় দেয়া হয়নি।’
অভিযান শেষে ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গুলিস্তান হকার্স মার্কেটে ২৫ কাঠা জায়গার উপরে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন একটা মার্কেট আছে। এটি দোতলা টিন শেড মার্কেট। মার্কেট সমিতি মেয়রের কাছে আবেদন করেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি যুগোপযোগী মার্কেট নির্মাণের জন্য। তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে মেয়র সেখানে ১০ তলা মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছেন। সম্পত্তি বিভাগকে ওই জায়গা খালি করে প্রকৌশল বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।’
ডিএসসিসির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মেয়রের নির্দেশে আজ আমরা সেখানে মার্কেট অপসারণ করে প্রকৌশল বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছি। মার্কেট সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অনুরোধ ছিল যেন ঈদ পর্যন্ত তাদের ব্যবসার সুযোগ দেয়া হয়। তাদের মেয়র সে সুযোগ দেন।
‘ঈদের পরে ব্যবসায়ীরা মার্কেট থেকে মালামাল সরিয়ে নিয়ে সিটি করপোরেশনকে সাহায্য করেছেন। মার্কেট কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারিসহ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় আজ সিটি করপোরেশনের যে স্ট্রাকচার আছে সেটা সরিয়ে নিয়ে প্রকৌশল বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছি।’
অনেকে বলছেন, ঈদ শেষ করে এখনও অনেকে বাড়ি থেকে ফেরেননি। সেক্ষেত্রে কয়েক দিন পরে মার্কেট ভাঙা যেত কি না- প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সমিতির নেতারা খবর দিয়ে ব্যবসায়ীদের বাড়ি থেকে ডেকে এনেছেন এবং তারা মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। এখন সেখানে কারো মালামাল নেই।’