শেরপুরের সদরে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামি ২৭ বছর বয়সী আবুল হোসেন শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীবাগ ভিটাকান্দা এলাকার আব্দুল জুব্বারের ছেলে।
আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া জানান, মামলার শুরু থেকেই আসামি আবুল হোসেন পলাতক। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং অপহরণের কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাদরাসায় যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান আবুল হোসেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। এ ঘটনায় অপহৃত ছাত্রীর মা ২ অক্টোবর আবুল হোসেনকে প্রধান আসামি করে তার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন ও বাবা আব্দুল জব্বারকে আসামি করে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পরে একই বছরের ডিসেম্বরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে শেরপুর থানা পুলিশ।
২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই আনোয়ারুল ইসলাম। ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর পলাতক আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় এবং অপর দুই সহযোগী আসামিকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেয় ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক পর্যায়ে মামলার বাদী, ভিকটিম ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।