ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে পুলিশের এআইজি (এসপি পদমর্যাদা) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে ২৯ মে ঠিক করেছে আদালত।
রোববার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার দিন ছিল। ডিবি প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম নতুন এ তারিখ দেন।
গত ১৫ মার্চ এক নারী আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে ওই নারীর ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। তারা আগস্টে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীকে জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না। তাকে বিয়ে করলে তিনি স্ত্রীকে তালাক দেবেন। ওই নারী প্রথমে তার প্রস্তাব নাকচ করেন।
পরে মহিউদ্দিন ফারুকী তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ৩০ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর বাসায় যান। পরে নানা অজুহাতে সে বাসায় যাতায়াত করতে থাকেন। এরপর ৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর জন্মদিনে মহিউদ্দিন ফারুকী তাকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করান। পরে বেশ কয়েকবার তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। সে বছরের ১৭ মার্চ ওই নারী তাকে প্রেগনেন্সির কথা জানান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, চিকিৎসক ওই নারীকে ভিটামিন ও আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিলে ১৮ মার্চ মহিউদ্দিন ফারুকী তার জন্য কিছু ওষুধ নিয়ে আসেন। সেসব ওষুধ খেয়ে রাতে তার পেটে ব্যথা হয়। সকালেও সেসব ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করেন মহিউদ্দিন ফারুকী।
পরে মহিউদ্দিন ফারুকী স্বীকার করেন ওষুধগুলো গর্ভপাতের। ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল ওই নারী আবারও গর্ভবতী হন। ২৮ এপ্রিল মহিউদ্দিন ফারুকীকে খবর দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ওই নারী তাকে বিয়ে করতে চাপ দিলে ৬ জুন তারা বিয়ে করেন।
তবে বিভিন্ন বিষয়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না থাকায় ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে ওই নারী মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।