ঈদের ছুটি শেষে ফিরতি যাত্রায় ফেরিঘাটগুলো আগের চেহারায় ফিরতে শুরু করেছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের চাপ দেখা গেছে। যাত্রীতে কানায় কানায় পূর্ণ বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা স্পিডবোট ও লঞ্চগুলো।
তবে স্বাভাবিক রয়েছে শিমুলিয়া ফেরিঘাটের যানবাহন পারাপার। রোববার দুপুরে শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
যাত্রীর চাপ সামাল দিতে সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রী পারাপারে রয়েছে ১৫৫টি স্পিডবোট এবং ৮৫টি লঞ্চ।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল থেকে শিমুলিয়া লঞ্চঘাটে ঢাকামুখী প্রায় ২০ হাজার যাত্রী পার হয়েছে।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় গণপরিবহন কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঢাকাগামী যাত্রীদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের চাপ বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। তাই ভাড়া কমানোর পাশাপাশি গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি তাদের।
বাংলাবাজার লঞ্চঘাটে দীর্ঘ সময় বাসের অপেক্ষায় থাকা হালিমা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিরপুর যাব, কিন্তু ১২০ টাকার ভাড়া ১৬০ টাকা করে নিবে বলল।’
আক্তার মোল্লা নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় এসেছি। গুলিস্তান যাওয়ার ভাড়া ৮৫ টাকা, আর চাচ্ছে ১২০ টাকা।’
বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে মাওয়া বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোমান মিয়াকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
শ্রীনগর লৌহজং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘাটে যানবাহনের চাপ কম। তবে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার ব্যাপারে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে খোঁজ নিচ্ছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি যাত্রী বাংলাবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছে। গতকাল প্রায় দেড় লাখ যাত্রী শিমুলিয়া ঘাটে পারাপার হয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক বাণিজ্য ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা ফেরিতে যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীর বাড়তি চাপ আছে।’