গাইবান্ধার বালাসীঘাট থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত নৌরুটে টানা সাড়ে ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বালাসীঘাট-বাহাদুরাবাদঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান রোববার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে নাব্য সংকটে ডুবোচরে আটকে যাওয়ার কারণে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি জানান, নাব্য সংকটের কারণে আটকে যাওয়া লঞ্চ দুটির নিচ থেকে বাল্কহেড দিয়ে বালি অপসারণ করে লঞ্চ দুটিকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরে বিআইডব্লিউটিএর একজন প্রকৌশলীর মাধ্যমে নতুন রুট ঠিক করে দেয়ার পর সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখন যাত্রীরা নিয়মিতভাবে বালাসী থেকে বাহাদুরাবাদ রুটে চলাচল করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর তলদেশে অল্প সময়ের মধ্যেই নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। তাই নিয়মিতভাবে এই রুটে একটি ড্রেজিং ব্যবস্থা রাখতে হবে। তা না হলে প্রায়ই ডুবোচরে লঞ্চ আটকে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটতে থাকবে।’
বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমানো এবং উত্তরবঙ্গের আট জেলার সঙ্গে যাতায়াত সহজ করতে বালাসী-বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌরুটে পরীক্ষামূলকভাবে গত ৮ মার্চ দুটি লঞ্চ সার্ভিসের উদ্ধোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে একনেকের এক সভায় বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত নৌরুটটি আবারও চালু করে ফেরিঘাট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রকল্পটির প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পরবর্তী সময়ে দুবার সংশোধন করে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা খরচ করে বাস টার্মিনাল, টোল আদায় বুথ, পুলিশ ব্যারাক, ফায়ার সার্ভিস, আনছার ব্যারাকসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।
তবে বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি কমিটি হঠাৎ করে নাব্যসংকট ও ২৬ কিলোমিটার বিশাল দূরত্বের নৌপথসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে নৌরুটটি চলাচলে অনুপযোগী বলে প্রতিবেদন দেয়।