ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হয়েছে অফিস-আদালত। ছুটি শেষ হলেও রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষের ফেরা এখনও শেষ হয়নি। ফেরিঘাটে তৈরি হয়েছে যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে দুই দিন ধরেই যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। রোববারও দেখা যায় একই অবস্থা।
সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার বাস ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল।
প্রতিটি যানবাহনকে ফেরি পার হওয়ার জন্য আট থেকে ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় গরমে অপেক্ষা করতে হাঁপিয়ে উঠছেন চালক ও যাত্রীরা। লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে উপচে পড়া যাত্রী নিয়ে।
বরিশাল থেকে শনিবার বিকেলে ঢাকায় ফেরার জন্য রওনা হয়েছেন শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, রাত ১২টায় ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছেছেন। সকাল ৯টার সময়ও ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। গরমে অপেক্ষা করতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
তরমুজবোঝাই ট্রাকের চালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি গতকাল সন্ধ্যা থেকে তরমুজ নিয়ে ঘাটে আটকে আছি। এখন তরমুজ দিয়ে পানি পড়ছে, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যদি দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাতে না পারি তাহলে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হবে।’
বাসযাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে অসুবিধায় পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গরমে বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, শিশুরা কান্নাকাটি করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাবউদ্দিন জানান, ছুটির শেষ দিন হওয়ায় শনিবার থেকে গাড়ির চাপ বেড়েছে। ছোট-বড় মিলিয়ে ২১ ফেরিই চলছে। ঘাটের লোড-আনলোড ক্লিয়ার রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে যেন ফেরির ট্রিপ না কমে।
সকাল থেকে ট্রাক পারাপার বন্ধ ছিল। দুপুর ২টা থেকে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পার করা শুরু হবে।