ট্রেন-বাসে যাত্রীদের অচেতন করে মূল্যবান মালামাল লুটের ঘটনা অহরহ ঘটে। এবার ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হানা দিয়েছে অজ্ঞান পার্টি। দুই দফায় বাড়িটির তিন নারী সদস্যকে অচেতন করে দুর্বৃত্তরা লুট করেছে স্বর্ণালংকার ও টাকা। অসুস্থদের ভর্তি করা হয়েছে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
স্বজনরা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ মাতুব্বরের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার নূরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের মীরাকান্দা গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যা এবং শনিবার সকালে দুই দফায় তার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট হয়।
রাশেদ মাতুব্বরের স্ত্রী জেলেখা বেগমকে শুক্রবার সন্ধ্যায় অচেতন করে চারটি সোনার চুড়ি, কানের দুল, গলার চেইনসহ প্রায় চার ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ঘটনা সম্পর্কে জেলেখা বেগমের নাতনি মার্জিয়া আক্তার বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারী এসেছিলেন বাড়িতে। তিনি দাদি কোথায় আছেন তা জানতে চান। আমি ঘর দেখিয়ে বলেছি দাদি ঘুমাচ্ছেন। এরপর ওই নারী দাদির ঘরে যান।
‘পরে বাড়ির অন্যরা দেখতে পান দাদি অচেতন, তার হাতের চুড়ি, কানের দুল ও গলার চেইন নেই।’
স্বজনরা জেলেখা বেগমকে উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাকে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এরপর শনিবার সকাল ১০টার দিকে একই বাড়িতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় রাশেদ মাতুব্বরেরে পুত্রবধূ পিয়া আক্তার ও নাতনি মার্জিয়া আক্তারকে। অন্যরা বাইরে গেলে বাড়িতে এ দুজন ছিলেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাশেদ মাতুব্বর জানান, বাড়ির আলমারিতে দেড় লাখ টাকা রাখা ছিল জমির দলিল করার জন্য। আলমারি ভেঙে সে টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কারা জড়িত, সে ব্যাপারে ধারণা দিতে পারেননি তিনি।
ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রতারক চক্রকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’