বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদে ৪৪৮৬ পর্যটক পেল সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ মে, ২০২২ ২২:২৪

সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসান জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকা থেকে বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ ও কদমতলা- এ তিনটি ফরেস্ট স্টেশন থেকে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতিপত্র দেয়া হয়।

এবার ঈদের ছুটির পাঁচ দিনে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় ভ্রমণ করেছেন ৪ হাজার ৪৮৬ জন প্রকৃতিপ্রেমী। ঈদের দিন মঙ্গলবার (৩ মে) থেকে শনিবার (৭ মে) পর্যন্ত পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় ভ্রমণ করেন তারা।

শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, সুন্দরবনের উপকূলীয় আবাসিক রিসোর্টগুলো পর্যটকে পরিপূর্ণ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে বন দেখতে ছুটে এসেছেন এসব মানুষ।

বর্ষা রিসোর্টের ম্যানেজার রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘বর্তমানে রিসোর্টগুলোয় ভিড় লেগেছে। কোনো সিট খালি নেই। ঈদের ছুটি কাটাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সুন্দরবন দেখতে এসেছেন পর্যটকরা। এখানে ১৯টি ডাবল বেড, ৯টি কাপল বেড ও ২টি থ্রি বেডের রুম আছে। সবগুলোই এখন বুক। ৮ মের পর সিট খালি হবে।’

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুর সরকারি ডাকবাংলোর তত্ত্বাবধায়ক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘এখানে চারটি ডাবল বেডের রুম। ঢাকা থেকে চারজন এসে এখন সেগুলোয় অবস্থান করছেন।’

অন্যদিকে সুশীলনের টাইগার পয়েন্ট গেস্ট হাউসটি ঈদে কর্মচারীদের ছুটি দেয়ায় এখন বন্ধ রয়েছে বলে জানান ম্যানেজার আব্দুল হামিদ। এ ছাড়া মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে সরকারি কর্মকর্তার বাইরে কেউ থাকতে পারেন না। সেখানে দুটি গেস্টরুম রয়েছে।

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত ৩ মে ঈদের দিন ২০টি নৌকায় ২০০ জন, ৪ মে ১১৩টি নৌকায় ২ হাজার ২৩ জন, ৫ মে ৫২ নৌকায় ৮২১ জন, ৬ মে ৬২ নৌকায় ৮৩১ জন এবং ৭ মে ৪৮ নৌকায় ৬১১ জন পর্যটক ছিলেন। অর্থাৎ ওই পাঁচ দিনে সুন্দরবন ভ্রমণ করেছেন ৪ হাজার ৪৮৬ জন। এতে রাজস্ব এসেছে ২ লাখ ৬ হাজার ৩৫৬ টাকা এবং ২৯৫টি নৌকায় রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯২ হাজার ৪৮২ টাকা। জনপ্রতি ৪৬ টাকা ও নৌকাপ্রতি ৩১৩ দশমিক ৫০ টাকা করে রাজস্ব আদায় করে বন বিভাগ।

ঈদের তৃতীয় দিন গত ৫ মে সুন্দরবন ভ্রমণে যান সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের গাজী শাহিন। সুন্দরবনের কলাগাছিয়া পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করেন তিনি।

শাহিন বলেন, ‘কলাগাছিয়া পর্যটনকেন্দ্রটি আগের চেয়েও সুন্দর করা হয়েছে। আগে সুন্দরবনের ভেতরে কাঠের রাস্তাগুলো ভাঙাচোরা ছিল। সেগুলো এখন মেরামত করা হয়েছে।’

এই ঈদে আশাশুনি উপজেলা থেকে সুন্দরবন ঘুরে আসা আশরাফুল ইসলামও কলাগাছিয়া পর্যটনকেন্দ্রটির প্রশংসা করেছেন।

সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসান জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকা থেকে বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ ও কদমতলা- এ তিনটি ফরেস্ট স্টেশন থেকে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতিপত্র দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে আজ (শনিবার) পর্যন্ত পাঁচ দিনে ৪ হাজার ৪৮৬ জন পর্যটক সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ ভ্রমণ করেছেন। বন বিভাগের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর