বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেউ কেউ সরকার উৎখাত করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৭ মে, ২০২২ ২১:০৩

গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারো কারো ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে। কিন্তু জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার সাহস নেই। সংগঠন করার সামর্থ্য নেই। তারা চাইবে দেশ অস্থিতিশীল হোক। এসব বিষয়ে দেশবাসীসহ দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ কেউ সরকারকে উৎখাতের কথা বলছে। তারা দল-টল করার চেষ্টা করছে। নানা কথা বলছে। কিন্তু আমাদের অপরাধটা কী? আমরা কোথায় ব্যর্থ হয়েছি? জিয়া, এরশাদ, খালেদা, তারেক- সবাই মানুষ হত্যা করেছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। আমরা তা করিনি। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য কমেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরেন। পাশাপাশি মানুষের মাথাপিছু আয়, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির কথা তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ক্ষমতায় যেতে অনেকেই বিদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে সেই বাস্তবতা নেই।

‘কারো কারো ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে। কিন্তু জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার সাহস নেই। সংগঠন করার সামর্থ্য নেই। তারা চাইবে দেশ অস্থিতিশীল হোক। তাই এসব বিষয়ে দেশবাসীসহ দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।’

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শনিবার বিকেলে গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। রাত পৌনে ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসা দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা এতে অংশ নিয়েছেন।

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক হয়নি। ২০২১ সালের নভেম্বরে একটি বৈঠক হলেও তাতে স্বল্পসংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর এ বৈঠক হচ্ছে স্বাভাবিক পরিবেশে।

মানুষ এবার ঈদে নির্বিঘ্নে বাড়ি গেছে ও ফিরছে উল্লেখ করে এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সরকার প্রধান। এজন্য তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘ঈদে আমাদের দেশের মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যায়। বিশ্বে অনেক দেশে এমন রীতি কমে গেছে। তবে শহরের মানুষ গ্রামে গেলে গ্রামেও অর্থ সরবরাহ বাড়ে। গ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল হচ্ছে। আমরা তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করছি। গ্রামীণ অর্থনীতিও শক্তিশালী করছি।‘’

আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রসঙ্গে দলের সভাপতি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত সম্মেলন করি। সময় এগিয়ে এসেছে। এর আগে আমরা কিছু কাজ করে থাকি। আগের ঘোষণাপত্রের অনেক কিছু বাস্তবায়ন করেছি।’

আওয়ামী লীগ সব সময় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোটের মাধ্যমে সব সময় ক্ষমতায় এসেছে; কখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। এ সংগঠন মাটি ও মানুষের সংগঠন। এ সংগঠন মাটি ও মানুষের জন্যই কাজ করে। ভবিষ্যতেও তা করে যাবে।

‘আওয়ামী লীগ কখনও ভোটে পেছনে ছিল না। নানা ষড়যন্ত্র করে ভোটে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যেও আমরা এগিয়েছি। নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী করেছে। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান নির্বাচনে প্রহসন ও ভোট কারচুপির কালচার শুরু করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই দেশের মানুষকে। তারা আমাদের বার বার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে, বিশেষ করে পর পর টানা ৩ বার ক্ষমতায় আসার ফলে উন্নয়নটা দৃশ্যমান হয়েছে। এর সুফলটা দেশের মানুষ পাচ্ছে।’

জুলাইয়ে আরো ৩৪ হাজার পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁই হবে

আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় আগামী জুলাই মাসে আরও ৩৪ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হবে বলে জানান সরকার প্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এদেশের সব মানুষ ঘর পাবে। তাদের থাকার জায়গা থাকবে। দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারবে। তিনি নিস্ব, অসহায় ও দুস্থদের আশ্রয়ের ব্যবস্থার কথা বলেছিলেন। তার ওই আশ্রয় শব্দ ঘিরেই এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘আশ্রয়ণ’।”

ঈদুল ফিতরের আগে প্রায় ৩৩ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের আগে ৩৩ হাজার ঘর দিয়েছি। জুলাই মাসে আরও ৩৪ হাজার দেব। বাকি থাকবে ৪৫ হাজার। তা-ও দিয়ে দিলে দেশে ভূমিহীন কেউ থাকবে না। আমরা চাই, বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।’

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভূমি ও গৃহহীন থাকবে না’-এর ধারাবাহিকতায় ভূমি ও বসতবাড়িহীন পরিবারকে দুই শতক জমির ওপর দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি করে ঘর উপহার দিচ্ছে সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি পরিবার। তৃতীয় ধাপে আরও ৩২ হাজার ৭৭০টি ঘর নির্মাণাধীন।

শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা

বৈঠকের শুরুতেই ৭ মে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশে ফেরা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতিকে শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের নেতারা। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাধা উপেক্ষা করে ওই বছরের ৭ মে দেশে ফেরেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর