বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় অতিদ্রুত কার্যকরের তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
শনিবার দুপুরে গাজীপুরের পুবাইলের হায়দ্রাবাদে আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এ তাগিদ দেন।
হানিফ বলেন, ‘আজকের এই সভা থেকে আইনমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার বিচারের রায় অতিদ্রুত কার্যকর করুন। এই বিচারের মধ্য দিয়ে গাজীপুরসহ বাংলাদেশের মাটিকে অভিশাপমুক্ত করার ব্যবস্থা নিন।’
আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাতবার্ষিকীর আগেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হানিফ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে একে একে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের হত্যা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আহসানউল্লাহ মাস্টার, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়াসহ ২৬ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, ‘আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। যে দলের দুই শীর্ষ নেতার একজন কারাগারে, আরেকজন বিদেশে পলাতক তাদের মুখে আইনের কথা, দুর্নীতি ও গণতন্ত্রের কথা মানায় না।’
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
বাবার খুনিদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রাসেল বলেন, ‘আমার বাবাকে হত্যার প্রতিবাদ করায় সেদিন রতনসহ অনেককে হত্যা করা হয়েছিল। মামলা হয়েছে ৪৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, ইকবাল হোসেন সবুজ, রুমানা আলী টুসি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল, জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারউজ্জামান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামিল হাসান দুর্জয়, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল।
সকালে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা আহসানউল্লাহ মাস্টারের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।