ডাকাতি মামলায় আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড এড়াতে ২৩ বছর ভারতে পালিয়ে থেকে আবদুস সাত্তার অবশেষে ধরা খেলেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার ভোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, সাত্তার ডাকাতি মামলার শাস্তি এড়াতে ১৯৯৯ সাল থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদে আত্মগোপনে ছিলেন।
সম্প্রতি তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের গবরাতলা গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬৫ বছর বয়সী সাত্তারের বাড়ি তানোর উপজেলার কিসমত বিল্লি গ্রামে। একসময় তিনি এলাকায় কুখ্যাত সাত্তার ডাকাত নামে পরিচিত ছিলেন।
১৯৯৯ সালের ৯ মার্চ এক ডাকাতির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার পরই ভারতের মুর্শিদাবাদ চলে যান সাত্তার।
তানোর থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, ডাকাতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ২০০২ সালের ৬ জুন রাজশাহীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদলত সাত্তারকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। আসামির অনুপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়েছিল।
ওসি বলেন, আদালতের সাজা ফাঁকি দিতে সাত্তার মুর্শিদাবাদেই বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি এক ব্যক্তির গরু-ছাগল চরাতেন। সুযোগ বুঝে মাঝে মাঝে তিনি বাংলাদেশে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করে যেতেন। এখানে তিনি নিজের কিছু জমির ধান বিক্রি করা টাকা নিয়ে যেতেন।
সম্প্রতি সাত্তার তার মেয়ের বাড়িতে আসেন। স্থানীয় সূত্রে তথ্য পেয়ে তানোর থানা পুলিশ ভোরে সেখানে অভিযান চালায়।
সাত্তারকে গ্রেপ্তারের পর তানোর থানায় নেয়া হয়। সেখান থেকেদুপুরের দিকে তাকে রাজশাহী কারাগারে তোলা হয়।
ওসি জানান, আব্দুস সাত্তার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি এবার এসেছিলেন জমির ধান কাটার জন্য। ধান বিক্রি করে তিনি একেবারেই চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।