বাগেরহাটের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ‘বাটাগুর বাসকা’ নামের মহাবিপন্ন প্রজাতির একটি কচ্ছপের ৩৩টি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে শনিবার সকালে এ বাচ্চাগুলো ডিম থেকে ফুটে বের হয়। বাচ্চা কচ্ছপগুলোকে ‘হ্যাচিং প্যানে’ রাখা হয়েছে।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরপাড়ের স্যান্ডবিচে একটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ ৬ মার্চ ৩৪টি ডিম দেয়।
‘৬২ দিন পর শনিবার ভোর থেকে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে শুরু করে। ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত একে একে ৩৩টি বাচ্চা ফুটে বের হয়। তবে একটি ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।’
আজাদ কবির আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে সুন্দরবনের করমজলে বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের সংরক্ষণ ও বংশবিস্তারে এ প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। দেশের বন বিভাগ ও আমেরিকা এবং অস্ট্রিয়ার দুটি সংস্থা যৌথভাবে এ কেন্দ্রটি গড়ে তোলে। ২০১৪ সালে আটটি কচ্ছপ দিয়ে এ প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১৭ সাল থেকে কেন্দ্রটিতে ডিম দিতে শুরু করে কচ্ছপগুলো।
‘সেই থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ৩২৭টি বাটাগুর বাসকা ডিম থেকে ২৭৫টি বাচ্চা ফুটেছে। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৮৭টি কচ্ছপ রয়েছে।’
বাংলাদেশসহ ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়ার কিছু অংশে দেখা মেলে বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইউসিএন) ২০০৩ সালে প্রজাতিটিকে মহাবিপন্ন ঘোষণা করে।
কচ্ছপের বাচ্চাগুলোকে ‘হ্যাচিং প্যানে’ রাখা হয়েছে। প্যানে রেখে লালনপালনের পর সেগুলো কেন্দ্রের বড় পুকুরে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।