স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
শনিবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের চাপ শুরু হয়েছে।
বেলা যত বাড়ছে, যাত্রী চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রয়েছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ।
অল্পসংখ্যক ফেরি চলাচল করায় বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলেও যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে আসতে শুরু করছে।
এই রুটে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী, বেগম সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়া, কেটাইপ ফেরি কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
ফেরিগুলোতে সাধারণ যাত্রী, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন, কাঁচামালবাহী গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। তবে সীমিতসংখ্যক ফেরি চলাচল করায় ঘাট এলাকায় যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
খুলনা থেকে আসা যাত্রী রুবাইদ হোসেন বলেন, ‘আমার বাইকের ভাড়া ৭০ টাকা অথচ নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। রিসিট কিন্তু ৭০ টাকাই দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি আমার কাছে অস্পষ্ট।
‘প্রচুর গরমে হাপিয়ে উঠেছি। ঢাকা যেতে পারলে হয়তো শরীরে জ্বর চলে আসবে। তারপরও যেতে হবে, কারণ কাল থেকে অফিস শুরু।’
লঞ্চঘাটে শাহালম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘লঞ্চে দাঁড়ানোর জায়গা নেই। মনে হয় ঠেসেঠেসে যাত্রী তুলছে। কিন্তু কেউ দেখার নেই। ঘাটে যারা আছে, তারা কিছুই করে না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খালি বাঁশি ফুকায়।
‘আমরা লঞ্চমালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছি। এখন ভালোভালো ঢাকা যেতে পারলেই হলো।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই রুটে পাঁচটি ফেরি দিয়ে যাত্রী, জরুরি গাড়ি ও কাঁচামালবাহী গাড়ি পারাপার হচ্ছে। কিছু গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সিরিয়াল অনুযায়ী সব গাড়িই পারাপার করছি।
‘ঘাটে আমাদের সব স্টাফ দায়িত্ব পালন করছে। আমিও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘাটে রয়েছি।’