পাবনায় ফেসবুকে পিস্তল হাতে ভাইরাল হওয়া সুজানগর উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুলকে দুই দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের গাবগাছী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সদ্য বিলুপ্ত হওয়া পাবনা জেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা-কর্মীরা দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছাত্রলীগ নেতা রাতুল এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার কর্মী।
এ বিষয় পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য জায়গাসহ বিভিন্নভাবে অভিযান চালাচ্ছি। ওই নেতা আত্মগোপনে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে খুব দ্রুত সময়েই আমরা তাকে আটক করতে পারব।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)-১২ সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার কিশোর রায় বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর থেকে আমরাও মাঠে রয়েছি। তথ্য-প্রযুক্তির বাইরে অবস্থান করার কারণে তাকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তবে সে যত বড় মাপের অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী হোক না কেন, ধরা তাকে পড়তেই হবে। শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা।’
ক্ষমতাসীন দলের সুজানগর উপজেলার একাধিক নেতা জানান, বিভিন্ন দলের সঙ্গে থাকা সুবিধাভোগী আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে খ্যাত। রাতুল দীর্ঘদিন ধরে পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন।
কয়েকজন স্থানীয় জানান, রাতুল ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী ক্ষমতাধর নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তাকে ধরতে হিমশিম খাচ্ছে বলে তাদের ধারণা। নানা কৌশল অবলম্বন করে সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে লাপাত্তা হয়ে আছে।