বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদতবার্ষিকী শনিবার। দিনটি পালনে গাজীপুরে ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গভীর শ্রদ্ধায় তাকে স্মরণ করবেন আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
টঙ্গীসহ গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভা।
সকালে পূবাইলের হায়দরাবাদ গ্রামে আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দুপুরে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রয়েছে স্মরণ সভা ও কাঙালি ভোজের আয়োজন।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেখানে তিনি ১০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের পূবাইল ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামে আহসান উল্লাহ মাস্টার জন্মগ্রহণ করেন।
গাজীপুর সদর ও টঙ্গী এলাকা নিয়ে গঠিত গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনি দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় হয়। ওই মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট। সাজা কমে সাতজনের। খালাস পান ১১ জন।
আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার বাদী তার ছোট ভাই গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।