বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আশপাশের দেশে সয়াবিন তেলের দাম বাড়েনি: ফখরুল

  •    
  • ৬ মে, ২০২২ ২০:৪৮

‘জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সয়াবিন তেলের মতো একটি প্রয়োজনীয় পণ্যকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেটি জনগণের ক্রয়ক্ষমতা থেকে দূরে ঠেলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলা হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, আশপাশের কোনো দেশ সয়াবিন তেলের দাম না বাড়ালেও বাংলাদেশ সরকার একটি শ্রেণির স্বার্থ রক্ষায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৮ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৪৪ টাকা বাড়ানোর পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তেলের দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয় বিবৃতিতে।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিন তেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। প্রতিটি পরিবারে রন্ধনকাজের জন্য এটি একটি অত্যাবশকীয় উপকরণ। সুতরাং নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াই প্রধান লক্ষ্য।’

সরকারকে ভোটারবিহীন আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সয়াবিন তেলের মতো একটি প্রয়োজনীয় পণ্যকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেটি জনগণের ক্রয়ক্ষমতা থেকে দূরে ঠেলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলা হয়েছে।’

সরকার নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থে এই মূল্য বৃদ্ধি করেছে দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আশপাশে কোনো দেশেই ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। একমাত্র বাংলাদেশের বর্তমান গণধিকৃত সরকারই জনগণের স্বার্থের তোয়াক্কা করে না। এরা নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণকে বন্দি করে রাখতে চায়।’

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে সারা বিশ্বেই। রোজা চলাকালে পাম তেলের বড় সরবরাহকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া তেল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।

ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে রোজার আগে সরকার ৫ শতাংশ রেখে ভোজ্যতেলের ওপর থেকে সব ধরনের ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়ার পর লিটারে দাম কমানো হয় ৮ টাকা। এক মাসও স্বস্তিতে কাটাতে পারেনি দেশবাসী।

ঈদের আগে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যায় তেল। ব্যবসায়ীরা জানান, যে দামে তাদের তেল কিনে আনতে হয়েছে, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করতে হলে অনেক বেশি লোকসান দিতে হয়।

ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসেই বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তেলের নতুন দাম জানায়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ভারতে লিটার ২০৫ টাকা করেছে৷ ইংল্যান্ডে তেলের বিক্রি সীমিত করে দেয়া হয়েছে, ব্রাজিল সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী, তারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে৷ ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে, বিশ্বব্যাপী সংকট দেখা দিয়েছে৷’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও এবং গতকাল সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি অভিনব নজিরবিহীন ঘটনা, যা জনগণকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। ক্ষমতাসীন মহলের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যেই বাজার থেকে সয়াবিন তেল গায়েব করে এখন চরম দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষকে গচ্চা দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এই ঘটনায় জনগণকে চরম হয়রানির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর