ঈদের ছুটি শেষ, ডাকছে কর্মস্থল। এ কারণে ভোলার লঞ্চঘাটগুলোয় এখন উপচেপড়া ভিড়।
ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অনেক মানুষের ব্যস্ততা এখন কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে। কেউ লঞ্চে, কেউ ফেরিতে, কেউবা সি-ট্রাকে কর্মস্থলের দিকে ছুটছেন। বেশির ভাগ মানুষের গন্তব্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও লক্ষ্মীপুরে।
শুক্রবার সকাল থেকেই ইলিশা ফেরি, সি-ট্রাক ও দুটি লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের ঢল লক্ষ করা গেছে।
ইলিশা ঘাটে কর্মমুখী মানুষের অধিকাংশ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক ও কর্মকর্তা।
ভোলার আটটি রুটে ৩৫টি লঞ্চ চলাচল করায় টার্মিনালে ভিড় বাড়ছেই। জেলার ইলিশা, দৌলতখান, চরফ্যাশন, বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার মঙ্গলসিকদার ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ছে লঞ্চগুলো।
সবচেয়ে বেশি চাপ ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে। এখান থেকে ১০-১২টি লঞ্চ ঢাকা ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া গ্রিন লাইন, সি-ট্রাক ও চারটি ফেরি যাতায়াত করে।
কথা হয় হাসেম আলী নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ঈদ করতে নিজ বাড়ি বাংলাবাজার এসেছিলাম। ঈদ করে তাড়াতাড়ি ঢাকায় ফিরতে চাই। কেননা দিন যত বাড়বে, যানবাহনের চাপ তত বাড়বে।
‘তাই ঈদের ছুটি এক দিন বাকি থাকলেও নিরিবিলি ঢাকায় যাওয়ার জন্য লঞ্চে উঠেছি পরিবার নিয়ে। কিন্তু লঞ্চে পা ফেলারও উপায় নেই।’
লঞ্চে উঠতে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি। ছবি: নিউজবাংলা
মো. রুবেল নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘ঘাটে যাত্রীদের অস্বাভাবিক চাপ। লঞ্চগুলোয় ভিড় হলেও কিছুই করার নেই। কর্মস্থলে ফিরতে হবে। তাই ভোগান্তি নিয়েই ফিরছি।’
সুমাইয়া খামন বলেন, ‘ঢাকা থেকে ঈদ করতে বাড়ি আসছিলাম। এখন ঢাকা যাওয়ার পালা, কিন্তু লঞ্চে কেবিন তো নাই-ই, বসে যে যাব, তারও ব্যবস্থা নেই।’
মো. মাহফুজ বলেন, ‘লঞ্চে এত যাত্রী যে দাঁড়ানোর অবস্থাও নেই। শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যেতে হবে। লঞ্চে এই বাজে অবস্থার মধ্যে অধিক ভাড়া নিচ্ছে।’
লঞ্চের যেখানে জায়গা পাচ্ছেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে ও বসে রওনা দিচ্ছেন যাত্রীরা। ছবি: নিউজবাংলা
সরেজমিন দেখা গেছে, ইলিশা ঘাট থেকে বেশির ভাগ লঞ্চ ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। তবে ঘাটে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও নৌপুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে উল্টো সুরে কথা বলছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, যাত্রীদের চাপ কম।
ভোলা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নৌযানগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পারে, সে জন্য বিআইডব্লিউটিএ মনিটর করছে। তবে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম।’