বরিশাল থেকে ঢাকাগামী বাসের টিকিট না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষ বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পাচ্ছেন না বাসের টিকিট।
যাত্রীরা অগত্যা লোকাল বাসে যাত্রা করছেন ঢাকার উদ্দেশে। দলে দলে মানুষ নথুল্লাবাদ থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের লোকাল বাসে ছুটছেন মাওয়ায়।
শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নথুল্লাবাদ টার্মিনালে রাজধানীমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে বিকল্প গাড়ি খুঁজছেন যাত্রীরা।
ভোর থেকে অপেক্ষার পর দুপুরের দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রীরা লোকাল বাসে উঠতে শুরু করেন। সেসব বাস যাত্রী নিয়ে অভ্যন্তরীণ সড়ক ধরে মাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। লোকাল বাসে ৩০০-৪০০ টাকা ভাড়ায় মাওয়া নেয়া হচ্ছে।
শারমিন সুলতানা নামে গৃহবধূ বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে নতুনবাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে ঈদ করতে এসেছিলাম ২৮ এপ্রিল। এখন ঢাকায় ফিরতে হবে। লঞ্চে অনেক ভিড়ের কারণে বাসে যাব বলে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে এসেছি।
‘এখানে ঢাকার বাসের টিকিট পাইনি। তাই ভেঙে ভেঙে যাওয়ার ডিসিশন নিই। লোকাল বাস মাওয়া পর্যন্ত যাচ্ছে। এরপর সেখান থেকে লঞ্চে ওপার যাব।’
রুকাইয়া বিনতে রুবি বলেন, ‘বাস টার্মিনালে এসেছি দুপুর ১টার দিকে। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর বিএমএফ পরিবহনের একটি বাসের টিকিট পেয়েছি। মাওয়া পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেই হয়, তারপর ঢাকা যাওয়াই যাবে।’
বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের সামি সাদি পরিবহনের চালক মো. জুয়েল বলেন, ‘ঢাকার যাত্রীদের চাপ থাকায় মালিক সমিতির অনুমতি নিয়ে আমরা মাওয়ায় যাত্রী নিচ্ছি। গাদাগাদি করে যাত্রী নিচ্ছি না, মাওয়া পর্যন্ত যে ভাড়া সেটাই নেয়া হচ্ছে।’
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাস টার্মিনালে। যাত্রীসেবায় আমরা কাজ করছি। কোনো বাসেই অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেয়া হচ্ছে না।’
বরিশাল মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম জানান, বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।