বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদোন্নতি না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়ায় সারওয়ারের শাস্তি

  •    
  • ৬ মে, ২০২২ ১৮:১৩

গত বছরের মার্চে পদোন্নতি না পেয়ে সারওয়ার ফেসবুকে লেখেন, ‘চাকুরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়,-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাদের বেশির ভাগই চাকরি জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই অন্যায়।’

পদোন্নতি না পাওয়ার পর ফেসবুকে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য লিখে শাস্তি পেলেন আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। ‘এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই অন্যায়’- এ-জাতীয় মন্তব্য লেখার পর তাকে তিরস্কার করা হয়েছে।

সারওয়ার বর্তমানে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। তিনি র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নানা অভিযান চালিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন।

গত বছরের ৭ মার্চ যে ৩৩৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়, তাদের মধ্যে সারওয়ার ছিলেন না।

পরদিন নিজের ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘চাকুরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাদের বেশির ভাগই চাকরি জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই অন্যায়।’

এই ঘটনায় সে সময় সারওয়ারকে র‌্যাব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়। সেই সঙ্গে তাকে তলব করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

সারওয়ার আলমকে তিরস্কার করে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, ‘প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সারওয়ার আলম একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করার মাধ্যমে অকর্মকর্তাসুলভ আচরণ করেছেন এবং এতে জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে গত বছরের ৩০ জুন অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠিয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়।

‘সারওয়ার আলম আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো লিখিত বক্তব্য দাখিল করেননি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, সারওয়ার আলম ফেসবুকে মন্তব্য করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা ‘অসদাচরণ'-এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।’

এতে আরও লেখা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) বিধিতে বর্ণিত ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(২)(ক) বিধি অনুযায়ী সারওয়ারকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সারওয়ারকে র‌্যাব থেকে সরিয়ে দেয়ার পর থেকে তিনি ফেসবুকে আগের মতো সক্রিয় নন। আর এই আদেশের বিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিভাগের আরো খবর