ঈদফেরত ঢাকামুখী মানুষের চাপ এখনও পড়েনি রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে।
উত্তরবঙ্গ থেকে সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসতে শুরু করলেও এখনও পুরোপুরি চাপ শুরু হয়নি বলে জানাচ্ছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার রাত থেকে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে পারে বলে তারা মনে করছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যেসব যাত্রী ঢাকায় এসেছেন তারা বলছেন, পথে যানজটের ভোগান্তি কমাতে তারা আগেই ঢাকায় এসেছেন।
গাবতলীর দ্রুতি পরিবহনের ম্যানেজার মো. জালাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও মানুষ আসা শুরু করেনি। ফেরা শুরু হবে শুক্রবার রাত থেকে। আর এখন মানুষ ঢাকার বাইরে তেমন যাচ্ছেও না।’
গাবতলীর শ্যামলী আর এন ট্রাভেলসের নুরুল ইসলাম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকের রাত থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে। কারণ অনেকে শনিবার অফিস করবেন। আজ দুপুরের পরে রওনা দেবেন।’
তিনি জানালেন, বর্তমানে ঢাকার বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের যাত্রীর চাপ বেশি।
ডিপজল পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের ইনচার্জ নীলকমল নিউজবাংলাকে একই তথ্য জানালেন।
তিনি বলেন, ‘এখনও তেমন ফিরতি চাপ শুরু হয়নি। তবে মানুষ আসছে। আশা করা যাচ্ছে শনিবার থেকে চাপ হবে।
‘এখন ঢাকা থেকেও যাত্রীদের যাওয়ার তেমন চাপ নেই। তবে বুধবার পর্যন্ত চাপ ছিল।’
হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাবতলী কাউন্টারের মাস্টার ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও মানুষ ঢাকামুখী হয়নি। ঢাকামুখী হওয়ার যে চাপ সেটা হতে মনে হয় আরও দু-এক দিন লাগবে।’
টিআর ট্রাভেলস চালক আব্দুল মমিন। তিনি শুক্রবার সকাল ৮টায় বগুড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গাবতলীতে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় তার। তিনি জানান, রাস্তায় কোনো যানজট নেই। এ জন্য দ্রুত ঢাকায় আসতে পেরেছেন তিনি।
তবে বিকেলের পরে যাত্রীচাপ বাড়তে পারে বলে জানালেন তিনি।
পাবনার সুজানগর থেকে এসেছেন রেজাউল ইসলাম রেজা। নিউজবাংলাকে তিনি জানান, রাস্তায় এখন গাড়ির চাপ নেই। এই সুযোগে ঢাকায় এসেছেন তিনি।
একই তথ্য জানালেন পাবনার সাঁথিয়া থেকে ঢাকায় আসা আপেল মাহমুদ।
শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও থেকে শ্যামলী পরিবহনে ঢাকায় এসে নেমেছেন শারমিন সামাদ সোমা।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যাত্রীর তেমন চাপ নেই রাস্তায়। ভালোভাবে আসতে পেরেছি। যানজটের ভোগান্তি কমাতে আগেভাগেই রওনা দিয়েছি।’