বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফিরতি ট্রেনযাত্রায়ও স্বস্তি

  •    
  • ৬ মে, ২০২২ ১৩:২৪

বৃহস্পতিবার মানুষের যাওয়া-আসায় সরগরম ছিল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। তবে শুক্রবার রাজধানীতে ফিরছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। সেই তুলনায় ঢাকা ছাড়ছেন অনেক কম।

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থল রাজধানীতে স্বস্তিতে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। এ ছাড়া যারা বিভিন্ন কারণে ঢাকায় ঈদ উদযাপন করেছেন তারা এখন বাড়িতে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার মানুষের যাওয়া-আসায় সরগরম ছিল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। তবে শুক্রবার রাজধানীতে ফিরছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। সেই তুলনায় ঢাকা ছাড়ছেন অনেক কম।

এদিকে ফিরতি যাত্রা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ছিল, পথে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

মঙ্গলবার উদযাপিত হয়েছে ঈদুল ফিতর। পরের দিন বুধবার পর্যন্ত ছিল সরকারি ছুটি। বৃহস্পতিবার থেকেই অফিস-আদালত খুলেছে। সেদিন কর্মস্থলে যোগ দিতে অনেকেই ঈদের পরের দিন বুধবার ঢাকায় ফেরেন। বৃহস্পতিবারে এ সংখ্যাটা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সেই তুলনায় শুক্রবার কমেছে যাত্রীর সংখ্যা।

সিরাজগঞ্জের জাহাঙ্গীর আলম বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসে ফিরেছেন ঢাকায়। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের আগের দিন বাড়িতে গিয়েছিলাম। ধানমন্ডিতে আমার একটা ছোটখাটো ব্যবসা রয়েছে। ঈদ শেষে ফিরলাম।’

একই ট্রেনে ফিরেছেন রিপন। পেশায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রিপন বলেন, ‘বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। শনিবারে অফিসে যোগ দিতে হবে। তাই আজ ফিরলাম।’

ফিরতি যাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো অসুবিধা হয়নি। যাওয়ার সময় মানুষের যে ভিড় ছিল ফেরার পথে সেটা কম। বেশ আরামেই পৌঁছেছি।’

সিরাজগঞ্জ থেকে ফিরেছেন গৃহিণী মনিরা। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দুই বাচ্চাসহ বোনের বাড়িতে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। ঢাকায় ফিরলাম। যাত্রাপথে কোনো ভোগান্তি হয়নি। বাসাবোতে আমার বাসা।’

সকালে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কথা হয় মাজেম আলীর সঙ্গে। রাজশাহী থেকে ফিরেছেন তিনি। নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘গাবতলীতে আমার একটা মুদি দোকান রয়েছে। ঈদ শেষে রুটিরুজির তাগিদে আবার ফিরলাম।’

আগামীকাল শনিবার কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে বেসরকারি চাকুরে ফজলুল হককে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু কাজ করে খেতে হবে তাই ফিরতে হলো। আর কয়েকটা দিন থাকতে পারলে ভালো হতো। তবে, আলহামদুলিল্লাহ, ৬ দিন ছুটি কাটিয়েছি, বেশ ভালোভাবেই পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছি।’

সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশনে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে পৌঁছায় তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস। প্রতিটি বগিই ছিল যাত্রীপূর্ণ। তবে ঈদের আগের যাত্রার চেয়ে কম। এমনকি বৃহস্পতিবারের চেয়েও কম।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার এবং স্টেশন মাস্টার আফছার উদ্দিন তাদের কার্যালয়ে না থাকায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কতটি ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে বা আসছে বলে জানা যায়নি। তবে স্টেশনের কর্মচারী মো. আরজু বলেন, ‘যে কয়টি ট্রেন প্রতিদিন যাওয়া-আসা করত, সেই সংখ্যক ট্রেনই যাওয়া-আসা করছে। গতকালের চেয়ে আজ যাত্রীদের ভিড় কম স্টেশনে।’

এ বিভাগের আরো খবর