বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতির পরামর্শ আ. লীগের কামরুলের

  •    
  • ৬ মে, ২০২২ ১৩:১১

বিএনপির উদ্দেশে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গণআন্দোলনের কথা না বলে নির্বাচনি প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আমরা একটি বিরোধী দল চাই।’

‘অহেতুক আন্দোলনের’ হুংকার না দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। ওই সময় একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।

আলোচনায় বিএনপির উদ্দেশে কামরুল বলেন, ‘গণআন্দোলনের কথা না বলে নির্বাচনি প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আমরা একটি বিরোধী দল চাই।’

নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব পালন করবেন জানিয়ে এই রাজনীতিক বলেন, ‘বিএনপি অহেতুক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ড মানুষ ভুলে নাই। তাদের নেতা নাই। নেতৃত্বশূন্য দল বিএনপি।

‘বিদেশে একজন পলাতক খুনের আসামি যাদের নেতা, সেই দলকে মানুষ গ্রহণ করবেন না। নির্বাচন নিয়ে কথা বলে দলটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে।’

আহসান উল্লাহ মাস্টার সত্যিকার অর্থে একজন শ্রমিক নেতা ছিলেন মন্তব্য করে কামরুল শিগগিরই তার খুনের আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আহসান উল্লাহ মাস্টার শিক্ষক থেকে শ্রমিক নেতা হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই অপশক্তি যারা তাকে হত্যা করেছে, তারা এখনও বাংলাদেশটাকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’

গাজীপুর সদর ও টঙ্গী এলাকা নিয়ে গঠিত গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আহসান উল্লাহ মাস্টার। ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য থাকার পাশাপাশি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আহসান উল্লাহ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।

২০০৪ সালে ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আহসান উল্লাহকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এতে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের।

২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়।

ওই মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট। সাজা কমে সাতজনের। খালাস পান ১১ জন।

এ বিভাগের আরো খবর