বাগেরহাটে সুন্দরবনের পাশের একটি মাছের ঘেরে বাঘ দেখার খবরে মসজিদে মসজিদে করা হয়েছে মাইকিং। খুঁজে দেখা হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন বাগান ও ঝোপঝাড়।
শরণখোলা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের শাহিন খান জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি তার মাছের ঘেরে বাঘ দেখেন। বিষয়টি সবাইকে জানালে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়।
বাঘের খোঁজে শুক্রবার সকালে খেজুরবাড়িয়া পৌঁছেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা।
শাহিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে বাবাকে নিয়ে ঘেরে যাই। হঠাৎ ঘেরের মধ্যে কিছু একটা শুয়ে থাকতে দেখি। দূর থেকে বোঝা যাচ্ছিল না। কিছুটা কাছে গিয়ে দেখি বাঘ।
‘আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই। পরে লোকজনকে জানালে তারা মাইকিং করে। সবাই যখন আলো নিয়ে বের হয় তখন বাঘটি কোথায় যেন চলে গেছে।’
শাহিনের বাবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবুল হোসেন খান বলেন, ‘সুন্দরবন থেকে আমাদের গ্রাম দুই কিলোমিটার দূরে। মাঝে আছে ভোলা নদী ও ধানসাগর গ্রাম। ধানসাগর গ্রামে বিভিন্ন সময় বাঘ এলেও, আমাদের গ্রামে দীর্ঘদিন পর দেখা গেল।
‘স্থানীয় লোকজন ভয় পেলেও বাঘ আটকানো বা মারার কোনো চেষ্টা করা হয়নি। মাইকিংয়ের মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়েছে বাঘটি যেন দ্রুত বনে চলে যায়। আমরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দিয়েছি।’
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুস সবুর জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যেখানে বাঘ দেখার কথা বলা হয়েছে সেখানকার মাটি শুকনো হওয়ায় পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি। আশপাশের এলাকা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই প্রথম খেজুরবাড়িয়ায় বাঘ আসার খবর এলো আমাদের কাছে। ওই এলাকায় বনরক্ষী ও ভিটিআরটি সদস্যরা আছেন। যদি আবার বাঘটিকে দেখা যায় তাহলে দ্রুত বনে ফিরিয়ে দেয়ার সব প্রস্তুতি আমরা রেখেছি।’