বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩ বছর পর চবি ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গের আশ্বাস

  •    
  • ৬ মে, ২০২২ ১৫:১৭

চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘দুই বছর করোনায় চলে গেছে। একটা ছাত্রলীগের কমিটি এক বছরের মধ্যে করা এত সহজও না। আমরা ১১ মের মধ্যে ২০১ সদস্যের কমিটি নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণার প্রায় তিন বছর পার হয়েছে; এখনও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। তবে চলতি মাসেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আশ্বাস দিয়েছেন এ কমিটির সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।

১১ মের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে বলে নিউজবাংলাকে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।

২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এ কমিটি ঘোষণা হয় । দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশনা থাকলেও প্রায় তিন বছর পরও তা করতে পারেননি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ দুটি বলয়ে বিভক্ত। এর একটি সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অন্যটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফলের অনুসারী।

প্রতিটি বলয়ের অনুসারীদের মধ্যে আবার আলাদা আলাদা বেশ কয়েকটি উপগ্রুপ রয়েছে। এদের মধ্যে সিক্সটি-নাইন, ভিএক্স, কনকর্ড, রেড সিগন্যাল, এপিটাফ, বাংলার মুখ, উল্কা গ্রুপ আ জ ম নাছিরের অনুসারী। সিএফসি ও বিজয় গ্রুপ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফলের অনুসারী। সবগুলো গ্রুপ মিলে কয়েক হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মীর ইউনিট চবি ছাত্রলীগ।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ২০১ সদস্যের কমিটির জন্য পদপ্রত্যাশী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী। সে সময় চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহের পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে।

এরপরও কমিটি গঠনে দেরি করায় ক্ষুব্ধ হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। বারবার কমিটি গঠনের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করলেও নানা অজুহাতে দুই নেতা কমিটি দিতে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ নেতা-কর্মীদের।

কমিটির বিষয়ে গত ১৪ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা। দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু এবং উপসাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ নাজমুল।

কেন্দ্রীয় দুই নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগেই ফটকে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন উপগ্রুপের নেতা-কর্মীরা।

আন্দোলনের মুখে উপায় না দেখে ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে কমিটির খসড়া কেন্দ্রে জমা দেবেন বলে ঘোষণা করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, তবে সেই তারিখের মধ্যেও আলোর মুখ দেখেনি পূর্ণাঙ্গ কমিটি।

সর্বশেষ ঈদের আগেই চবি ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এই কথা শুনে বিভিন্ন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা রমজানের শেষে ক্যাম্পাস ও হলে অবস্থান করেন, তবে সেই কথাও রাখতে পারেননি তারা।

নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কমিটি নিয়ে মূল দুই নেতার (নাছির-নওফেল) সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন গ্রুপের নেতাদের আলোচনা শেষ হয়েছে। দুই নেতাই ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেয়া ও অনুমোদনের অপেক্ষা।

চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই বছর করোনায় চলে গেছে। একটা ছাত্রলীগের কমিটি এক বছরের মধ্যে করা এত সহজও না।

‘আমরা ইনশাআল্লাহ ১১ মে তারিখের মধ্যে ২০১ সদস্যের কমিটি নিয়ে আসার চেষ্টা করব। সর্বশেষ আপডেট হচ্ছে, আমরা দুই-এক দিনের মধ্যে কমিটি কেন্দ্রে নিয়ে যাব।’

ঈদের আগে কমিটি কেন দিতে পারেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ একটা বৃহৎ সংগঠন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী এখানে পদপ্রত্যাশী। কমিটি করতে গেলে অনেক জটিলতা ওভারকাম করে কমিটি করতে হয়। চাইলেই এক মিনিটে কমিটি করে ফেলা যায় না।

‘আমাদের কমিটি রেডি হয়েছে। আমরা ঢাকায়ও গিয়েছি। ঈদ চলে আসাতে আর সম্ভব হয়নি। আমরা ঈদের বন্ধের আগেই কমিটি করে ফেলতে পারব।’

‘বিজয়’ গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা কমিটি চাই। কমিটি ঈদের আগে হওয়ার কথা ছিল, প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি সেটা করতে পারে নাই। এটা তারা বুঝবে। তারা বলেছে, তারা চেষ্টা করছে; ঈদের ব্যস্ততার জন্য তারা সফল হতে পারে নাই। তারা যদি মনপ্রাণ দিয়ে একনিষ্ঠভাবে চায়, তাহলে কমিটি হয়ে যাবে।’

‘ভিএক্স’ গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সভাপতি ও সেক্রেটারি কয়েককবার তারিখ দিছে। সর্বশেষ বলছিল ঈদের আগে কমিটি দেবে। ঈদও চলে গেছে, কিন্তু কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। আমাদের নেতা (আ জ ম নাছির) আমাদের সব কিছু রেডি করে দিছে। এখন তারা কমিটি লেট করলে সেটা তাদের ব্যক্তিগত দায়ভার।’

তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি তিন বছর চায় নাই কমিটি দ্রুত হোক। এখন না হওয়ার কারণ দেখছি না, কমিটির জন্য যা যা প্রয়োজন সব হয়ে গেছে। এখন তারা ঢাকা যাবে, লিস্ট জমা দেবে, কমিটি হয়ে যাবে। এখন যদি দেরি হয় তাহলে তাদের অন্য উদ্দেশ্য আছে।

‘এর আগেও কয়েকবার ডেট দিয়ে সে ডেট অনুযায়ী কাজ করতে পারে নাই। এবারও ঈদের আগে কমিটি দেবে বলে ব্যর্থ হয়েছে। আমি মনে করি এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যর্থতার দায়ভার।’

এ বিভাগের আরো খবর