বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌপথে রাজধানীমুখী মানুষের ভোগান্তি

  •    
  • ৬ মে, ২০২২ ১০:৪৯

লঞ্চ ঘাটে দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র পুলিশ পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, ‘প্রতি বারই ঈদ শেষে ফেরার পথে যাত্রীদের চাপ একটু বেশি থাকে। এবারও দু’দিন ধরে যাত্রীর চাপ রয়েছে। আমরা প্রতিটি লঞ্চে যেন অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার না করে সেজন্য লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের চাপ দিয়ে আসছি। অনেক সময় যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে লঞ্চে উঠে, তখন আর তেমন কিছু করার থাকে না।’

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ শেষে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে নৌপথ। ফিরতি পথেও ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রীদের।

ফেরিতে যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপার না করায় ছোট ও হালকা যান নিয়ে পার হতে হচ্ছে। এতে লঞ্চ আর স্পিডবোটই যাত্রীদের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই সুযোগে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা।

দেশের অন্যতম নৌপথে বিভিন্ন স্থান থেকে শুক্রবার সকাল ৭টার পর বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করে। শনিবার অফিস থাকায় একদিন আগেই ঢাকায় যাচ্ছেন অনেকে।

শনিবার থেকে লঞ্চগুলোতে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাটে দেখা যায়, তিন নাম্বার ফেরি ঘাটে ‘এনায়েতপুরী’ ফেরিটি নোঙর করার ১০ মিনিটেই পুরো ফেরি মোটরসাইকেল আর হালকা কয়েকটি প্রাইভেটকারে ভর্তি হয়ে যায়। পা ফেলার জায়গা নেই। মুর্হুতের মধ্যে ফেরির মাস্টার সিগনাল দেয়ায় ছেড়ে যায় ফেরিটি।

এরপরে একই ঘাটে আসে ফেরি ‘কুঞ্জলতা’। আসতে না আসতেই মোটরসাইকেলে ভর্তি হয়ে যায়। সঙ্গে দুই তিনটি মাইক্রোবাসও উঠে তাতে।

ঘাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার মাইকে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে হুঁশিয়ারি বার্তা। শুধু তিন নাম্বার ঘাটই নয়, অন্য ফেরি ঘাটগুলোর প্রায় একই চিত্র। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার যাত্রীরা ঈদ শেষে কর্মস্থলে যাচ্ছে।

পটুয়াখালী থেকে আসা যাত্রী হিরু মোল্লা জানান, ‘ঈদ আসলেই আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। ঘাটে আসলে ফেরিতে উঠতে পারি না। লঞ্চে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ। পা ফেলার জায়গা নাই। ভাড়া খুব বেশি না নিলেও যাত্রীদের চাপে শেষ হয়ে যাই। যদি লঞ্চে টিপের সংখ্যা বাড়নো যায়, তাহলে দুর্ভোগ কমবে। আর পুলিশ যদি লঞ্চের মালিকদের কম যাত্রী নিতে চাপ দেয়, তাহলে সমস্যা থাকে না।’

বরিশালের উজিরপুরের যাত্রী আহমেদ রতন বলেন, ‘মটরসাইকেল নিয়ে আসছি ঈদ করতে। যাওয়ার সময় যেমন ফেরিতে উঠতে কষ্ট হয়েছে, ঠিক তেমনই ফেরার পথেও একই কষ্ট। দীর্ঘ সময়ে লাইনে দাড়িয়ে আছি। অথচ ঘাটে বড় বড় ফেরি নোঙর করে রাখা। এই সময়ে যদি ফেরিগুলো ছাড়া হতো, তাহলে এতো কষ্ট হতো না। এদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত।’

বাংলাবাজার ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিটিসির ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ফেরিঘাটে আজ ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ রয়েছে। সাতটি ফেরি এই ঘাটে যাত্রী এবং যানবাহনগুলো পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে।

‘প্রতিটি ফেরিতেই ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে ঈদ শেষ হলেও কিছু সংখ্যক যাত্রী এখনও গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে। এজন্য ৮৭টি লঞ্চ ছাড়াও এক শ’য়ের উপরে স্পিডবোট চলছে। কোথাও কোন অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর চুরি ও ছিনতাইরোধে। আশা রাখি, ঈদের আগের চেয়ে এখন বেশি নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী বাসগুলোর যাত্রীরা নদী পার হয়েছে। তবে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ তুলনামূলক অন্য বছরের চেয়ে কম। গত বছর যে পরিমাণে চাপ ছিল, তার অর্ধেকও এবার নাই। তার অন্যতম কারণ লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু থাকা। গতবার এসব বন্ধ ছিল।’

লঞ্চ ঘাটে দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র পুলিশ পরিদর্শক আক্তার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বারই ঈদ শেষে ফেরার পথে যাত্রীদের চাপ একটু বেশি থাকে। এবারও দু’দিন ধরে যাত্রী চাপ রয়েছে। আমরা প্রতিটি লঞ্চে যেন অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার না করে সেজন্য লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের চাপ দিয়ে আসছি। অনেক সময় যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে লঞ্চে উঠে, তখন আর তেমন কিছু করার থাকে না। তাও চেষ্টা করছি নিয়ম মেনেই যাত্রীরা পারাপার হোক।’

এ বিভাগের আরো খবর