নিজ এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ সফর করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই সফরে ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গেও সাক্ষাত হয়েছে। দুই ভাইয়ের সঙ্গে হয়েছে কথাও।
বিষয়টি নিয়ে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘উনারা ভাই-ভাই এক হয়েছেন, কিন্তু মানুষের ঘৃণা তো আর যায়নি।’
বৃহস্পতিবার রাতে নিউজবাংলাকে মুঠোফোনে তিনি এ কথা বলেন।
একরাম বলেন, ‘কাদের সাহেব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি এমপি, উনিও এমপি। আমি আমার এলাকা নিয়ে আছি। উনি বাংলাদেশের সেক্রেটারি, উনি উনার পর্যায়ে আছেন। উনাকে নিয়ে কোনো কথা বলার নাই, কারণ রাজনীতি মানুষের জন্য। যারা মানুষ মারার জন্য রাজনীতি করে, তাদের জন্য তো রাজনীতি না।’
ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালী সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকে ওবায়দুল কাদের সাহেব নোয়াখালী সফর করে চলে গেলেন কিন্তু উনার ভাই (মির্জা কাদের) মারামারি করে একজন লোককে হত্যা করলেন। এ রাজনীতির কোনো মানে হয় না। কোম্পানীগঞ্জে আজকেও একজন লোককে মারা হইছে।’
নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
ওবায়দুল কাদেরের আসনসহ দুই আসনে নির্বাচন প্রসঙ্গে এই এমপি বলেন, ‘যদি নেত্রী আমাকে অ্যালাউ করেন, তাহলে আমি দুই আসনেই নির্বাচন করব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে একরামকে বাদ দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি। তার দলের গঠনতন্ত্র ফলো করার দরকার ছিল। তিনি আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে বাদ দিয়েছেন।
‘তিনি লক্ষ মানুষের সামনে আমাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করলেন। হঠাৎ করে আমার কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি করলেন, এটা কি গঠনতন্ত্রে আছে নাকি। নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে ওবায়দুল কাদের সাহেব শেষ করে দিয়েছেন।
‘ডিসেম্বরের মধ্যে দলে অনেক পরিবর্তন আসবে। বাঘাবাঘা নেতারাও হয়তো কাত হয়ে যাবে। কারণ আমার আস্থা বিশ্বাস সবকিছু জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আছে। উনি দলকে এভাবে ধ্বংস হতে দেবেন না।’