বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টুকু পরিবারের বিবাদে আবার রণক্ষেত্র বেড়া

  •    
  • ৫ মে, ২০২২ ২১:২৪

সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বাতেন। নৌকা পেয়ে ভোটেও জেতেন সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন। ভাতিজার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করেন বাতেন। এই ভোট নিয়ে ভাই বাতেনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি টুকুর। ভোট শেষে বাতেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যবসা-বাণিজ্য দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন টুকুপুত্র ও তার সমর্থকরা।

পাবনার বেড়া উপজেলার সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন ও ভাই আব্দুল বাতেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

বৃশালিখা কোল ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

টুকুর ভাই বাতেন পৌরসভার মেয়র থাকাকালে বছর দশেক আগে শালিখায় হুরাসাগর নদীতীরে ঘাটটি গড়ে তোলেন, যেটি নৌবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধভাবে এই ঘাটটি গড়ে তোলার সংবাদ প্রকাশের পর তা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ।

পরে সরকারি সংস্থাটির সঙ্গে মধ্যস্থতা করে আবার ঘাটটি চালু করেন বাতেন। বন্দরের পাশে শতাধিক দোকান নির্মাণ করে নিজ অনুসারীদের কাছে বরাদ্দ দেন।

সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বাতেন। নৌকা পেয়ে ভোটেও জেতেন টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন। ভাতিজার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করেন বাতেন।

এই ভোট নিয়ে ভাই বাতেনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি টুকুর। ভোট শেষে বাতেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যবসা-বাণিজ্য দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন টুকুপুত্র ও তার সমর্থকরা। এর জেরে বৃশালিখা ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাতেন সমর্থকদের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বাতেন সমর্থকরা তালা ভেঙে নিজেদের দোকান খুলতে গেলে রঞ্জন সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ লোকজন তাদের গাড়িতে হামলা করে কাচ ভেঙে দেয়। এ সময় পাঁচ পুলিশসহ গ্রামের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন।

এর মধ্যে আহত কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানকে বেড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত তিন প্লাটুন পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন ও বর্তমান মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। সম্প্রতি পৌরসভার নির্বাচন থেকেই তাদের চাচা ও ভাতিজার মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। সেই ঝামেলার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃশালিখা ঘাট এলাকায় দোকানপাট দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংষর্ষে লিপ্ত হন।’

ঘটনার বিষয়ে বাতেন ও রঞ্জনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। অন্যদিকে টুকুর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

ঘটনার পর বৃশালিখা গ্রামে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষরা ঘর ছেড়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর