সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া হামলাকারী তিন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন গোয়াইঘাটের পন্ন গ্রামের লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস, ইসলামপুর গ্রামের সেলিম আহমেদ, নয়াবস্তি এলাকার সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের নাজিম উদ্দিন, ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের জয়নাল আবেদীন।
সিলেটের পুলিশ সুপার মো ফরিদ উদ্দিন জানান, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার ভিডিও দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে তাদের আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিকিট কাটা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে পর্যটকদের ওপর চড়াও হন উপজেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবীরা। সে সময়ের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা তিনজন হাতে লাঠি নিয়ে একদল পর্যটককে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। এ সময় কিছু নারী পর্যটকও লাঞ্ছিত হন।
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের এখানে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।’
এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই তিনজন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’