ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবসে প্রায় শূন্য ঢাকার বিচারিক আদালত প্রাঙ্গণ। নেই বিচারপ্রার্থীদের কোনো ভিড়। তবে আদালতের প্রধান প্রধান এজলাসগুলোতে কিছু লোকজন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন আদালতের এজলাসে প্রধান আর জ্যেষ্ঠ বিচারকদের শুনানি নিতে দেখা গেলেও অনেক এজলাস বিচারকশূন্য।
অনেক বিচারক ঈদ ছুটি আর সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যবর্তী এই একটি কার্যদিবস ছুটি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এজলাসে কর্মচারীদের উপস্থিতিও অনেক কম।
আইনজীবী চৌধুরী গালিব হাসান রাকিব নিউজবাংলাকে জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্তাদের দপ্তরে উপস্থিতি কম থাকায় একটি মামলার নথি খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে।
শিক্ষানবীশ আইনজীবী মো. সিফাত জানান, তাদের চেম্বারের একটি মামলা ছিল ঢাকার একটি যুগ্ম জেলা জজ আদালতে। তিনি হাজিরা জমা দিয়ে শুনানির অপেক্ষা না করে চলে এসেছেন। কারণ তিনি জানেন শুনানি হবে না।
আদালতপাড়ার প্রাঙ্গণে চায়ের দোকান, বইয়ের দোকানও বন্ধ রয়েছে। কারাগার থেকে আসামিদের বহন করা প্রিজনভ্যানের সংখ্যাও কম দেখা গেল আদালত প্রাঙ্গণে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী তাপস কুমার পাল জানান, এ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ বসেছেন। সেখানে আইনজীবীরা অনেক মামলাতেই অন্য দিনের চেয়ে বেশি সময়ের আবেদন নিয়ে এসেছেন।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূইয়া এজলাসে বসেছেন।
অনেক ফৌজদারি মামলার ট্রায়াল, দেওয়ানি মামলার আবেদন শুনানি চলছে বলে জানান দায়রা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিমল সমাদ্দার।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, প্রধান বিচারক রেজাউল করিম চৌধুরীসহ এ আদালতের ২৭ জন বিচারক আজ ছুটিতে রয়েছেন। মাত্র ১০ জন হাকিম আদালত চালাচ্ছেন। রেজাউল করিম চৌধুরীর কাজ চালাচ্ছেন ১ নম্বর অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর সিদ্দিক।