গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে বড় জয় পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট আগামী নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে আশা করছেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে হানিফ বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোট যেন নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করতে পারে সেটিই লক্ষ্য। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহার করেছে। বর্তমান সরকারের সময় দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক কাজ করলেও বিএনপি মনে করে তারা সরকারের পক্ষে কাজ করছে।
‘বিএনপির কর্মই ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে জঙ্গিদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আর এই হামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছিল।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শেষবার ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে যে ভোট হয়, তাতে আড়াইশরও বেশি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হয়, তা বর্জন করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও সমমনারা। অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় আরও বেশ কিছু দল ভোটে আসেনি।
এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হয়, তাতেও মহাজোটের জয় ছিল আরও বেশি। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮০টিরও বেশি পায় ক্ষমতাসীন জোট।
এরই মধ্যে আগামী নির্বাচনের আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট এই নির্বাচন বর্জনেরও হুমকি দিচ্ছে। তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার দাবি করছে।
আওয়ামী লীগ বিরোধীদের এসব দাবি পাত্তা না দিয়ে ভোট সামনে রেখে দল গোছানোর কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে দলের নতুন জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে।
হানিফ বলেন, ‘আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করায় এবারের কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য।’
আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।