ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। ঈদের আগে ধাপে ধাপে বাড়ি গেলেও ফিরতে হচ্ছে অনেকটা একই সময়ে। এরই মধ্যে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়লেও ফেরি মিলছে সহজেই। তবে নদী পারাপারের পর ঘাটসংলগ্ন সড়কে মিলছে না বাস। বাসে উঠতে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে তাদের লম্বা পথ হাঁটতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে শিশু ও মালপত্র নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে হেঁটে ট্রাক টার্মিনালের দিকে যাচ্ছেন যাত্রীরা। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন যানে চড়ে রাজধানীতে ফিরছেন তারা। প্রচণ্ড রোদ আর গরমে শিশু ও মালামাল নিয়ে প্রায় ২০০ মিটার হাঁটতে হচ্ছে তাদের।
ঢাকাগামী যাত্রী আবু বকর জানান, ফেরি পার হয়ে প্রায় ২০ মিনিট হাঁটতে হয়েছে। এরপর বাসের দেখা মিলেছে। এই রোদ আর গরমে ব্যাগ নিয়ে হাঁটা খুব কষ্ট। বাসগুলো টার্মিনালে থাকলে এত কষ্ট হতো না।
মিরপুরগামী আমেনা খাতুন জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে বা ফেরিতে কোনো ভোগান্তি নেই। কিন্তু পাটুরিয়া ফেরি পার হওয়ার পর অনেক হাঁটতে হয়েছে। শিশু আর মালামাল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের আরিচাঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরি দিয়ে ঈদফেরত যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাট এলাকা সর্ম্পূণ স্বাভাবিক আছে। যাত্রী ও চালকেরা পাটুরিয়া আসামাত্রই ফেরিতে উঠতে পারছেন।
তিনি বলেন, ‘যানবাহনের বিষয়টি আমাদের দেখার বিষয় না, এটি পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব। আমাদের কাজ হচ্ছে ফেরি পারাপার করা।’
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ‘যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে ঈদের আগে পাটুরিয়া ট্রাক টার্মিনালে বাস রাখা হয়েছে। কারণ ফেরি ও লঞ্চঘাটের পাশেই বাস টার্মিনাল হওয়ায় সেখানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থেই বাস দূরে রাখা হয়েছে।’