বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গজনী অবকাশে পর্যটকের ঢল

  •    
  • ৫ মে, ২০২২ ১৯:১৪

পর্যটন কেন্দ্রের রাইডস ব্যবসায়ী ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা আসলে দুই বছর ব্যবসা করতে পারি নাই। এবার ঈদে যে পরিমাণ লোক আসছে, এমন করে আসতে থাকলে করোনার মধ্যে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে পারব।’

দীর্ঘ দুই বছর ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি পর্যটকরা। এবার ঈদে কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় সারাদেশ থেকে শেরপুরের উত্তরে বিস্তৃত গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকোপার্কে দলে দলে ছুটে আসছেন তারা।

গজনী অবকাশ কেন্দ্রে নতুন করে ঝুলন্ত ব্রিজ, রুফওয়ে, ক্যাবলকার, প্যাডেল বোর্ড, সাম্পান নৌকা সংযোগসহ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করায় এখানে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বেশি।

পাশাপাশি বন বিভাগ গড়ে তুলেছে মধুটিলা ইকোপার্ক নামে দুটি পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন রিসোর্ট ও ক্যাফে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন নতুন রাইডস হওয়ায় দর্শনার্থীরা বেশ সাড়া দিচ্ছেন। বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে ভিড় করছেন পর্যটন কেন্দ্রে। বাস, লেগুনা, অটো, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে করে আসতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের। আর এ যানবাহনের জ্যাম লেগে গেছে পর্যটন কেন্দ্রের বাইরের দুই কিলোমিটার রাস্তায়।

ময়মনসিংহ থেকে আসা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গত দুই বছর ঘরবন্দি জীবন কাটিয়েছি। আর দুই বছরে চারটি ঈদ গেছে; কোনো ঈদেই করোনার কারণে কোথাও যেতে পারিনি। এবার যখন পৃথিবী আগের মত হয়েছে তখন আর মনকে ধরে রাখতে পারিনি। ছুটে এসেছি ময়মনসিংহ থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আর এখন এসে দেখি সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে গোটা গারো পাহাড়। নানা গাছে ফুটেছে বিভিন্ন ধরনের ফুল। খুব ভালো লাগছে এসে।’

শেরপুর শহর থেকে আসা জিনিয়া আক্তার জিম বলে, ‘বাবা-মার সঙ্গে ঘুরতে এসে খুব আনন্দ করলাম। অনেক কিছু কিনলাম, খুব ভালো লাগছে আমার। এর আগের ঈদে তো কোনো জায়গায় যেতে পারিনি। তাই এইবার পাহাড়ে এসেছি। কাল নানু বাড়ি যাব।’

মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা নিপা আক্তার বলেন, ‘আমি শুধু শুনেছিলাম গজনীর কথা। কিন্তু কোনো সময় আসা হয়নি। এবার আসলাম, ঘুরে দেখলাম। খুব ভালো লাগল। এবারের ঈদটাকে এখানে এসে কাটাতে পেরে আরও প্রাণবন্ত লাগল।’

পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ীদের দাবি, যেভাবে দর্শনার্থী আসছেন এটা অব্যাহত থাকলে লাভবান হবেন তারা। করোনাকালীন ক্ষতিও পুষিয়ে নিতে পারবেন।

পর্যটন কেন্দ্রের রাইডস ব্যবসায়ী ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা আসলে দুই বছর ব্যবসা করতে পারি নাই। এবার ঈদে যে পরিমাণ লোক আসছে, এমন করে আসতে থাকলে করোনার মধ্যে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে পারব।’

পর্যটন কেন্দ্রের রাইডস ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘এবারের ঈদে লোকজন ভালো আসতাছে। গত দুই বছর তো করোনার কারণে বন্ধ ছিল। এভাবে লোকজন আসলে আমাদের জন্য ভালো। আমরা কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারব।’

জেলা প্রশাসনের দাবি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আরও উন্নয়ন করা হবে।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা গজনী অবকাশ কেন্দ্রের অনেকটাই উন্নয়ন করেছি। নতুন নতুন রাইডস সংযোজন করেছি। এবারের ঈদে অনেক দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। এখানে সারা বছর যেন দর্শনার্থীর সমাগম থাকে এজন্য আলাদা কিছু রাইডস করা হচ্ছে। পর্যটন মোটেল করা হবে। পর্যটন পুলিশ চাওয়া হয়েছে, আশা করি আমরা তা পাব। ফলে নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। বর্তমানেও পুলিশ মোতায়েন আছে। নিরাপত্তার সমস্যা নেই। অন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর