মঙ্গলবার দেশব্যাপী উদযাপিত হয়েছে ঈদুল ফিতর। ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে বুধবার। বৃহস্পতিবার থেকে খুলেছে অফিস-আদালত।
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীতে ফিরছেন হাজারও মানুষ। গতকাল থেকেই ফিরতে শুরু করেন তারা। তবে এই সংখ্যাটা আজকে অনেক বেশি।
অন্যদিকে যারা বিভিন্ন কারণে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যেতে পারেননি, তারা ঈদের পরে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।
বাড়িতে যাওয়া এবং কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভিড়ে বৃহস্পতিবার সরগরম রয়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।
কথা হয় রাজমিস্ত্রি আলমের সঙ্গে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি জামালপুরে গিয়েছিলাম। ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে হবে তাই আজকে বউসহ ফিরছি।’
৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কথা হয় সরকারি চাকরিজীবী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গ্রামে ফিরেছিলাম রমজানের মাঝখানে। লম্বা ছুটি কাটিয়েছি। তাই দ্রুতই ঢাকায় ফেরা। আজ বিকেল থেকে অফিস শুরু।
বনলতা এক্সপ্রেসে রাজশাহী থেকে ঢাকায় ফিরেছেন মো. মাসুদ। আজকে অফিসে যোগ দেয়ার কথা। বিভিন্ন কারণে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে। স্টেশন থেকে সরাসরি যাবেন কর্মস্থলে।
দুই নাম্বার প্ল্যাটফর্মে কথা হয় সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের যাত্রী মল্লিকার সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ ঢাকাতেই করেছি। সে সময়ে বিভিন্ন কারণে যেতে পারিনি। তাই ঈদের পরে যাচ্ছি। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মিলিত হব অনেক দিন পর।’
শিমুল মোস্তফা নামের এক যাত্রী বলেন, ঈদের মধ্যে কোথাও যাওয়া হয়নি, তাই পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছি। সিলেটের চা-বাগানসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাব।
পরিবার নিয়ে রাজশাহীতে ফিরবেন হায়দার আলী। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এই বাসিন্দা বলেন, ‘ঈদ ঢাকাতেই করেছি। কিন্তু ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছি।’
রাজশাহী মহানগরীর বাসিন্দা মিলন। ঢাকায় নিজের ব্যবসা রয়েছে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক কারণে ঈদ ঢাকাতেই করতে হয়েছে। স্ত্রী সন্তানদের বাড়িতে পাঠাতে এসেছি। তারা গ্রামের বাড়িতে যাবে। আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যাবে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মচারী আরজু বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার অফিস-আদালত খুলেছে। কর্মস্থলে যোগ দিতে প্রচুর মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। এ ছাড়া অনেক মানুষ ঈদ এখানেই করেছেন, তারা ঢাকা ছেড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। এ কারণে স্টেশনে অনেক ভিড়।’