বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বোয়ালমারীতে ২ খুন: স্বজনের মামলার অপেক্ষায় পুলিশ

  •    
  • ৫ মে, ২০২২ ১৪:০৭

ঈদের দিন জোহরের নামাজ শেষে মোস্তফা জামান সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা স্থানীয় গোহাইলবাড়ী বাজারের একটি দোকানে বসে ছিলেন। বেলা ২টার দিকে আরিফ খালাসির ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক তাদের ওপর হামলা চালান। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাত খাইরুল শেখ ও আকিদুল শেখ নামে দুজন নিহত হন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ঈদের দিন দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পুলিশের দাবি, নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটকও করা হয়নি। প্রধান অভিযুক্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ খালাসি ঘটনার পর থেকে এলাকায় নেই। আরিফসহ তার কয়েক সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকী এবং গোহাইলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আলফাডাঙ্গায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ খালাসির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।

ঈদের দিন জোহরের নামাজ শেষে মোস্তফা জামান সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা স্থানীয় গোহাইলবাড়ী বাজারের একটি দোকানে বসে ছিলেন। বেলা ২টার দিকে আরিফ খালাসির ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক তাদের ওপর হামলা চালান। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাত খাইরুল শেখ ও আকিদুল শেখ নামে দুজন নিহত হন। মোস্তফার দুই ভাইসহ আহত হন ১০ জন।

স্থানীয়রা জানান, গত মাসে গোহাইলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে মোস্তফা ও আরিফের গ্রুপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আরিফকে পরাজিত করে মোস্তফা জামান সিদ্দিকী স্কুল কমিটির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। এতে দুজনের বিরোধ আরও তীব্র হয়।

মঙ্গলবারের হামলায় নিহত খাইরুল ও আকিদুলের ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তাদের স্থানীয় খরসূতী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

নিহত খায়রুলের মা জরিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। যারা আমার ছেলেকে ঈদের দিন হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।’

খায়রুলের মেয়ে রাবেয়া বেগম বলেন, ‘ঈদের দিন আমি শ্বশুরবাড়ি মধুখালী থেকে বাবার বাড়ি গোহাইলবাড়ী আসছিলাম। বাবা আমাকে এগিয়ে আনতে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন। তখন গোহাইলবাড়ী গ্রামের আরিফের অনুসারী আমজেদসহ কয়েকজন আমার বাবাকে কুপিয়ে মেরেছে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’

খুনের ঘটনায় বাকরুদ্ধ আকিদুল শেখের স্বজন। তার পাঁচ বছরের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন আকিদুলের ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ মা সাহেদা বেগম।

দুই খুনের পর গোহাইবাড়ী ও দৌত্যেরকাঠি গ্রামে আরিফ অনুসারীদের অন্তত ১২টি বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই হত্যার ঘটনায় বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত বোয়ালমারী থানায় কোনো মামলা হয়নি। এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বিভিন্ন বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে সুমন কর বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তবে অনেকে হামলার শঙ্কায় বাড়ির মালপত্র সরিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তাদের পুলিশ বাধা দেয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর