পূর্ববিরোধের জেরে কুমিল্লায় ঈদের জামাতে প্রতিপক্ষের গুলিতে মোস্তাক আহমেদের আহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ মোস্তাক আহমেদের বড় ভাই ইকরাম কবির ভূঁইয়া মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় রুবেল ভূঁইয়াকে। অন্য আসামিরা হলেন জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সবুজ ভূঁইয়া, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, আবদুর রব ভূঁইয়া, মনজিল ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, মিন্টু ভূঁইয়া ও ফখরুল হাসান চৌধুরী।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পলাশ বিশ্বাস বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ মোস্তাকের পায়ে অপারেশন করে গুলি বের করা হয়েছে। রক্ত দেয়া হয়েছে। এখন শঙ্কামুক্ত।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ৫ নম্বর পাঁচথুবী ইউনিয়নে গোলাবাড়ি ভূঁইয়া বাড়ি জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাতে পূর্বশত্রুতার জেরে রুবেল ভূঁইয়া ওই এলাকার মোস্তাক আহমেদকে গুলি করেন।
এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা পর ঈদের নামাজ হয়।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোস্তাক আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
গুলিবিদ্ধ মোস্তাকের ভাই শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘ঈদের নামাজের আগমুহূর্তে আমার ভাইকে হত্যার জন্য গুলি করেছেন ফরিদ মিয়ার ছেলে রুবেল। গত ২৫ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগের দিন তার ঘর থেকে র্যাব অভিযান পরিচালনা করে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
‘এ ঘটনার পর আমার ভাই মোস্তাককে সন্দেহ করে তারা। পরে আমার ওপরও তখন হামলা হয়। রুবেলসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করে আমার ভাই মোস্তাক। এ বিরোধের জেরে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈদগাহ জামাতে প্রকাশ্যে গুলি করে। তাদের নামে একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। রুবেল নগরীর চকবাজার আলোচিত অস্ত্রের মহড়াতেও জড়িত আছে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘গুলি করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।’