করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসার কৃতিত্ব দাবি করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক স্বপন। বলেছেন, কোনো জাদুমন্ত্রে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসেনি, এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।
সারা বিশ্বকে একসময় অচল করে দেয়া ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আসার কারণেই এবার স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসবমুখর হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
ঈদুল ফিতরের পরদিন বুধবার নিজ নির্বাচনি এলাকা মানিকগঞ্জ সদরের সুভ্র সেন্টারে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি এ কথা বলেন।
২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর চারটি ঈদই কেটেছে অনেকটাই নিরানন্দভাবে। বাড়ি ফেরার যে স্বাভাবিক স্রোত থাকে, সেটি অনেকটাই ছিল কম। এর মধ্যে দুই বছরে করোনার তিনটি ঢেউ মোকাবিলা করেছে দেশ, সরকারি হিসাবে প্রাণ হারিয়েছে ২৯ হাজারের বেশি মানুষ।
২০২০ সালের মার্চ থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় পরের বছরের শুরু থেকে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত চলা তৃতীয় ঢেউ ছিল অনেক প্রাণঘাতী। তবে চলতি বছরের শুরুতে আঘাত হানা তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত-মৃত্যু দুটোই ছিল কম। আর এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে দ্রুত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো জাদুমন্ত্রে করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়নি। এর জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। করোনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ আছে বলেই মানুষ আত্মীয়স্বজন ও লোকজনের সঙ্গে ঈদ করতে পারছে। ঈদে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়িতে যেতে পেরেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এটা সম্ভব হতো না।’
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসায় টিকাদান কর্মসূচির ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের টার্গেটের ৯৮ শতাংশ লোককে ভ্যাকসিন দিয়েছি। আমাদের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৭৫ শতাংশ লোককে টিকা দিতে পেরেছি। টিকার কারণে আমরা ভালো আছি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে ২০ হাজার কোটি টাকার টিকা বিনা মূল্যে দিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, এত টিকা দেয়ার কারণ সরকারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেখেছে, আমরা সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি এবং কোনো ভ্যাকসিন নষ্ট করিনি। তাই তারা এত টিকা বিনা মূল্যে দিয়েছে আমাদের।’
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদ আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র রমজান আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।