ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে ‘লেটস টক মেন্টাল হেলথ’ এবার দিনটি উদযাপন করেছে ঢাকার উত্তরখানের আপন নিবাস বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের সঙ্গে।
আপন নিবাস বৃদ্ধাশ্রমে আছেন শতাধিক দুস্থ, অসহায় ও ভাসমান নারী। এ আশ্রমে তারা পাচ্ছেন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা।
জন্মলগ্ন থেকেই লেটস টক মেন্টাল হেলথ মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে। আর এ লক্ষ্য সামনে রেখেই এবার সংগঠনটি ‘ইম্পট্যান্স অফ মেন্টাল ওয়েলনেস অফ সিনিয়রস’ ব্যানারে স্বজনহীন মানুষদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মানুষের বয়স ষাটের ওপরে, যা ২০৩০ সাল নাগাদ আরও ১১ শতাংশ বাড়বে। এদের বেশির ভাগ বসবাস করছেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। প্রবীণদের অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন নন। পাশাপাশি একাকিত্ব আর অসহায়ত্বের কারণে অনেকের মানসিক স্বাস্থ্যই হুমকির মুখে।
মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অনেক দিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছে ‘লেটস টক মেন্টাল হেলথ’। এর আগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করেছে সংগঠনটি। দেশের বাইরে ভারতে স্পেশাল চাইল্ডদের নিয়ে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও করেছে এ সংগঠন।
‘লেটস টক মেন্টাল হেলথ’-এর পক্ষ থেকে আপন নিবাসের ১১০ জন প্রবীণ বাসিন্দাকে ঈদের দিন বিভিন্ন ধরনের উপাদেয় খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়। এ সময় নিবাসের বাসিন্দাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও বিভিন্ন প্রচার চালান সংগঠনের সদস্যরা।
আয়োজনে প্রাণচঞ্চল ছিলেন বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দারা। হাসিমুখে তারা লেটস টক মেন্টাল হেলথের সদস্যদের আপন করে নেন। বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম আর মিষ্টিমুখের মাধ্যমে তারা ঈদের উৎসব একে অপরের সঙ্গে ভাগ করেন।
আয়োজনে লেটস টক মেন্টাল হেলথের সভাপতি আনুশা চৌধুরী বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দেশের অধিকাংশ মানুষ সচেতন নন। আর সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ সমস্যা আরও প্রকট। তাই স্বল্প পরিসরে আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারা যায় আমরা সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’
ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন তিনি।