ঈদুল ফিতরের নামাজে দোয়া চলছিল তখন। এমন সময়ই ধেয়ে আসে কালবৈশাখী। মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পুরো ঈদগাহ। এতে নিহত হয়েছেন একজন, আহত অন্তত ১২ জন।
মঙ্গলবার সকালে নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ৬০ বছর বয়সী নিহত জালাল উদ্দিন সদর উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বানিয়াদি গ্রামের মৃত মেহের আলীর ছেলে।
এ ছাড়া আহতদের মধ্যে বানিয়াদি গ্রামের মৃত ডা. তমিজউদ্দিনের ছেলে ডা. আলাল, সামসু মিয়ার ছেলে গোলজার মিয়া, মাহফুজ আহমেদ ও তার বাবা আব্দুল লতিফ অন্যতম।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাক্তার এনামুল হক শাহীন।
গনেরগাঁও এলাকার রাকিবুল হাসান বলেন, ‘ঈদগাহ কমপ্লেক্সে ঈদের নামাজের দোয়ার সময় প্রচণ্ড ঝড়-বাতাস শুরু হয়। এ সময় আমি ঈদগাহের পাশে মাদ্রাসার দোতলায় ছিলাম। মুহূর্তের মধ্যে ঈদগাহ মাঠের ত্রিপল ছিঁড়ে বাঁশগুলো ভেঙে মুসল্লিদের ওপর পড়ে। এ সময় একটি গাছও উপড়ে যায়। এতে অনেকে আহত হন। আর বানিয়াদি গ্রামের একজন মারা যান।’
এ ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া বানিয়াদি গ্রামের ডাক্তার আলাল বলেন, ‘ঈদের নামাজ আদায়ের পর খুতবা চলছে, তখনই বৃষ্টি শুরু হয়। এরই মধ্যে ইমাম সাহেব সংক্ষিপ্ত দোয়ার মাধ্যমে জামাত সম্পন্ন করেন। আমরা মুসল্লিরা ঈদগাহে ত্রিপলের নিচে অবস্থান নিই। কালবৈশাখীতে সেই ত্রিপল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এতে মুসল্লিরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সময় ঈদগাহের পাশে একটি প্রাচীরের ইট ও ত্রিপলের বাঁশ এসে জালাল উদ্দিনের ওপর আছড়ে পড়ে।’
আলাল জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় মুসল্লিরা জালাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবদীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হলে স্বজনরা তাকে নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হন। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যালে মারা যান জালাল উদ্দিন।
দুপুরের পর জালাল উদ্দিনের মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাক্তার এনামুল হক শাহীন জানান, বিকেলে নিহত জালাল উদ্দিনের জানাজা শেষে গনেরগাঁও গোরস্তানে দাফন করা হয়। জালালের পরিবারে তার স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছেন।