বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিরোধের জেরে হামলায় নিহত দুই

  •    
  • ৩ মে, ২০২২ ১৮:৫১

মোস্তফা জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘ঈদের নামাজের পর দুপুরের দিকে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসে ছিলাম। এ সময় বজলু খালাসীর ছেলে শরীফ খালাসী, তার ভাই আরিফ খালাসী ও দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল আমার ও আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত হন ও ১০ জন আহত হন।’

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পূর্বের বিরোধ ও স্কুলের নির্বাচনে পরাজয়ের দ্বন্দের কারণে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১০জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী বাজার এলাকায় মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন উপজেলার চরদৈতরকাঠি গ্রামের হাসেম আকিদুল মোল্যা ও একই গ্রামের খায়রুল। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকী এবং গোহাইলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আলফাডাঙ্গায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ খালাসির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

গত মাসে গোহাইলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আরিফ গ্রুপকে পরাজিত করে মোস্তফা জামান সিদ্দিকী পুনরায় ওই স্কুল কমিটির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন।

নিহত ও আহত সবাই মোস্তফা জামান সিদ্দিকী গ্রুপের বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের দিন জোহরের নামাজ শেষে স্থানীয় গোহাইলবাড়ী বাজারে মোস্তফা জামান সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা দোকানে বসেছিলেন। ওই সময় বেলা ২টার দিকে আরিফ খালাসির ১০/১২জন সমর্থক অ ওই দোকানে অবস্থানকারীদের ওপর হামলা করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান।

হামলায় সাতজন গুরুতর আহত হন।

আহতদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক আকিদুল মোল্লাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

গুরুতর আহত খায়রুল শেখকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ফরিদপুর যাওয়ার পথে খায়রুলের মৃত্যু হলে তার আত্মীয়-স্বজন মরদেহ বোয়ালমারী থানায় আনেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন শেখের দুই ছেলে মাছুদ আহম্মেদ ও আলমগীর আহম্মেদ। তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়।

এ ছাড়া আহত ভাড়ালিয়ার চর এলাকার রাজিবুল ইসলাম, কাদের মোল্লা ও সোহেল মোল্লাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মোস্তফা জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘ঈদের নামাজের পর দুপুরের দিকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলাম। এ সময় বজলু খালাসির ছেলে শরীফ খালাসি তার ভাই আরিফ খালাসি ও দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে প্রায় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল আমার ও আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত হন ও ১০ জন আহত হন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ খালাসির মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কথা হয় ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন নবাবের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘মোস্তফার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। তাদের সঙ্গে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ খালাসির পরিবারকে বিরোধ চলে আসছিল গত প্রায় ১০ বছর ধরে। সম্প্রতি স্কুল কমিটির নির্বাচনে মোস্তাফা জিতে যাওয়ায় এ বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

‘মঙ্গলবার দুপুরে গোহাইলবাড়ী বাজারের মোস্তফার দোকানে এসে আরিফ খালাসির সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকান ও দোকানের আশেপাশের লোকদের ওপর হামলা করেন। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।’

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বলেন, ‘যারা আহত বা নিহত হয়েছে তারা একই দলভুক্ত। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

‘পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। একটি মরদেহ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে, অপরটি বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। মরদেহ দুটির ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর