বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে ৪ প্রাণহানি: গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য গ্রাম

  •    
  • ৩ মে, ২০২২ ১৮:২৮

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এখনও মামলা করেনি কোনো পক্ষ। তবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে সব পুরুষ সদস্য।’

কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামে সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করেছে।

এরই মধ্যে তদন্তে নেমেছে সিআইডি, ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য আস্তানগর গ্রাম।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এখনও মামলা করেনি কোনো পক্ষ। তবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে সব পুরুষ সদস্য।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিজ গ্রামে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে দাফন করা হয়েছে।’

ঘটনার সূত্রপাত

কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামে চারা বটতলার মোড় দখলে রাখা নিয়ে সোমবার সংঘর্ষ হয়। ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামতের লোকজন গ্রাম্য বাজার এই চারা বটতলার দখল ধরে রেখেছেন। প্রতিপক্ষ বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের লোকজন সেখানে যাওয়া নিয়ে বিকেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

ইফতারের কিছুটা আগে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হলে চারজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন লালটু, কাশেম, রহিম ও মতিয়ার। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আটজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের চারা বটতলার মোড় দখলে রেখেছেন কেরামত আলীর লোকজন। সেখানে তার লোকজনকে যেতে দেয়া হয় না। গ্রামে সাবেক মেম্বার ফজলু ও তার ভাতিজা বর্তমান মেম্বার আনিস চেয়ারম্যান মেহেদীর লোক। তারা কয়েকজন চারা বটতলায় গেলে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

‘একপর্যায়ে বিকেলে ও সন্ধ্যায় সংঘর্ষ হয়। এতে বর্তমান চেয়ারম্যান মেহেদীর পক্ষের তিনজন ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামতের পক্ষের একজন নিহত হন।’

সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত আলী বলেন, ‘গ্রামের কোনো জায়গা আলাদা করে কারও দখলে নেই। আধিপত্য নিয়ে যেটুকু বিরোধ আছে তা মিটিয়ে ফেলার জন্য মেহেদীকে বলেছি, কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।

‘সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার সমর্থিত রহিম উজানগ্রাম বাজারহাট থেকে এসে চারা বটতলায় নামলে ফজলু ও আনিসের লোকজন মারধর করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে- এমন খবরে লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।’

এর জন্য তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান মেহেদীকে দায়ী করেন।

এ বিভাগের আরো খবর