বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১০ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। এ বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম। গত বছর যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫২তম।
এ সূচক তৈরি করেছে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)।
মঙ্গলবার ২০২২ সালের গণমাধ্যম সূচকটি প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছর সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৩৬ দশমিক ৬৩। এর আগের বছর বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৫০ দশমিক ২৯।
২০২০ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫১তম। আর ২০১৯ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০তম।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে তার ভিত্তিতে ২০০২ সাল থেকে আরএসএফ এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে এই সূচকে বাংলাদেশ আছে। তখন বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪৪তম।
তালিকায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সবার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। আর তলানিতে অবস্থান করছে উত্তর কোরিয়া।
সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ১৫০তম। এর আগের বছর ভারতের অবস্থান ছিল ১৪২-এ।
এ ছাড়া সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৭তম।
যুদ্ধকবলিত ইউক্রেনের অবস্থান সূচকে ১০৬তম। অন্যদিকে রাশিয়ার অবস্থান অনেক পেছনে ১৫৫তম।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক ২০২২-এ শীর্ষ ১০টি দেশ হলো- নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, কোস্টারিকা, লিথুয়ানিয়া ও লিশটেনস্টাইন।
আর সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা ১০টি দেশ হলো- উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, ইরান, তুর্কমেনিস্তান, মিয়ানমার, চীন, ভিয়েতনাম, কিউবা, ইরাক ও সিরিয়া।
আরএসএফ সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিস্টোফ ডিলোয়ার বলেছেন, স্বৈরাচারী দেশগুলো তাদের নাগরিকদের গণমাধ্যম থেকে দূরে রাখে। তাদের তথ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক উত্তেজনাও বৃদ্ধি করে, যা বিশ্বকে সবচেয়ে খারাপ ধরনের যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। গণতন্ত্রের জন্য একটি মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে।
তথ্যের স্থানগুলোকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ একটি উপযুক্ত আইনি কাঠামো গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।