ঈদুল ফিতরে দেশসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থেকে ঈদ উৎসব উদযাপনের আহবান জানান তিনি।
বঙ্গভবনের দরবার হলে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদুল ফিতরের নামাজে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি।
সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাষ্ট্রপতি পরিবারের সদস্য ও বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশ নেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। শুধু নিজেকে বা পরিবারকে নিয়ে নয় বরং আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ঈদ উদযাপনের মধ্যেই ঈদের প্রকৃত আনন্দ।
‘আমি দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে উপভোগের আহ্বান জানাচ্ছি।’ করোনা মাহামারির কারণে গত দুই বছর কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবই প্রত্যাশিত আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন ও উপভোগ করা সম্ভব হয়নি বলে আক্ষেপ করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, তাই এবার মানুষের মধ্যে বাঁধভাঙা আনন্দ উপভোগের প্রবণতা দেখা দেবে এটাই স্বাভাবিক।
‘তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও করোনা ভাইরাস পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তাই চলাফেরা ও জীবনাচারে সাবধানতা অবলম্বন না করলে যেকোনো সময় করোনা পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যেতে পারে। আনন্দ করতে গিয়ে যেন আমরা বিপদকে ডেকে না আনি। তাই আসুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উৎসব পালন করি, দেশকে করোনামুক্ত রাখি।’
সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে হাসি ফোটাতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের আগে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাড়ি দেয়া হয়েছে।’
ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সবার মুখে হাসি ফোটানোই এবারের ঈদুল ফিতরের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘সবার জন্য ঈদ হোক আনন্দময়।’