বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টানা ছুটিতেও খাঁ খাঁ খাগড়াছড়ি

  •    
  • ২ মে, ২০২২ ২১:৪৩

খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালার অধিকাংশ আবাসিক হোটেল এখন পর্য।টকশূন্য। তবে ভিন্ন চিত্র রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্র এলাকার কটেজগুলোতে।

টানা ছুটি মানেই দেশের দর্শনীয় অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ব্যতিক্রম নয় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িও। এই জেলার পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে যান হাজারও মানুষ। কিন্তু এবারের ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন!

সাপ্তাহিক ছুটি, মে দিবস ও ঈদুল ফিতরসহ টানা ছুটি চললেও আশানুরূপ পর্যটকের দেখা মিলছে না খাগড়াছড়িতে। অন্যান্য সময় এমন টানা ছুটিতে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র মানুষের পদচারণায় মুখর থাকলেও এবার অনেকটাই সুনসান।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ঈদের ছুটিতে সবকিছু বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খাগড়াছড়ির পর্যটন ব্যবসায়ীরা এবারের ঈদে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন। তারা আশা করছেন, ঈদের পরে হলেও বিপুল সংখ্যক মানুষ খাগড়াছড়িতে ঘুরতে যাবেন।

রোববার বিকেলে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ওয়াচ টায়ার ও সুড়ঙ্গ এলাকায় কিছু দর্শনার্থী ঘোরাফেরা ও ছবি তুলছেন। এদের অধিকাংশই স্থানীয়। আলুটিলা এলাকায় নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা দেখতে এসেছেন। জেলার বাইরের পর্যটক সেখানে ছিল না বললেই চলে।

জেলা শহরের অদূরে জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কেরও একই অবস্থা। সেখানকার বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতুটিও জনমানুষ শূন্য। খাঁ খাঁ করছে পুরো পার্ক।

স্থানীয় কয়েকজন ছাড়া ছিলনা বাইরের জেলার কোনো মানুষ

জেলা পরিষদ পার্কের দোকানদার আজিজুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে ব্যবসায়িকভাবে খুব ক্ষতিগ্রস্ত আমি। এ বছর নতুন করে মূলধন যোগাড় করে ব্যবসা চালু রাখি। আশা ছিল, ভালো বিক্রি হবে। কিন্তু এখনও পর্যটকের দেখা নেই। ২০১৯ সালেও ঈদের আগে থেকে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় ছিল। কিন্তু এবার এখনও জমেনি।’

খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বর এলাকার খাবার হোটেল ব্যবসায়ী পারভেজ জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে পর্যটক না থাকায় এবার ঈদের পর দোকান খুলবেন কি-না সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তিনি।

সদরের আবাসিক হোটেল গাইরিং এর ম্যানেজার প্রান্ত ত্রিপুরা জানান, হোটেলটির দুই-তৃতীয়াংশ কক্ষ এখনও বুকিং হয়নি।

একই চিত্র খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালার অধিকাংশ আবাসিক হোটেলের। তবে ভিন্ন চিত্র রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্র এলাকার কটেজগুলোর। ঈদের ছুটি শুরুর পর থেকে পর্যটকরা আনা গোনা বেড়েছে।

সাজেক হিমালয় রিসোর্টের মালিক মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, গত ২ বছরে সব ঈদ ও সরকারি বন্ধে লকডাউনের কারণে পর্যটন খাত বন্ধ ছিল। এ আশানুরূপ সাড়া না পেলেও শেষ পর্যন্ত ভালো কিছু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

লুসাই ভিলেজের ম্যানেজার সুলতান মিয়া জানান, ২ থেকে ৬ মে পর্যন্ত তার হোটেলের সবগুলো কক্ষ বুকিং রয়েছে। এবার তিনি করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন বলে চিন্তা করছেন।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘টানা ছুটিতে খাগড়াছড়ি ও সাজেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ সজাগ রয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র ভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে আসা যাওয়া মানুষের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সে দিকেও নজর থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর