কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান মারা গেছেন।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে শফিকুল আহসান খোকন।তিনি জানান, রোববার রাত পৌনে ২টার দিকে পেটে ব্যথা শুরু হলে তার বাবাকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে গাজীপুরে পৌঁছলে তিনি মারা যান। পরে তার মরদেহ শহরের নিউটাউনের বাসায় নিয়ে আসা হয়।
সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ শহরের ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেয়া হয়। বাদ জোহর শহরের শহিদী মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি মিঠামইন উপজেলার মহিষারকান্দি গ্রামে নেয়া হবে।
সেখানে গার্ড অফ অনার প্রদান শেষে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবাকে দাফন করা হবে বলে জানান শফিকুল আহসান।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। জেলা আদালতের স্পেশাল পিপি ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহানের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হচ্ছেন তার শহরের বাসায়।
অনেকে আবার অপেক্ষা করছেন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবীদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে। স্ত্রী, ছয় ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।