রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে প্রবেশ করলে মনেই হবে না সময়টা ঈদযাত্রার। টার্মিনাল এলাকায় ময়মনসিংহের কয়েকজন বাদে অন্য এলাকার যাত্রী চোখে পড়ার মতো নয়।
গাবতলীর মতো মহাখালী বাস টার্মিনালেও গাড়ির স্টাফরা ডেকে ডেকে টিকিট বিক্রি করছেন। যাত্রীর অভাবে অনেক গাড়ির শিডিউল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সকালে মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীর চেয়ে গাড়ির স্টাফ বেশি। কাউন্টারে বসে অলস সময় পার করছেন তারা।
একতা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা খলিলুর রহমান স্বপন বলেন, ‘যাত্রীই নাই। সকাল থেকে তিন গাড়ি ছাড়ছি। পৌনে ৯টা ও সাড়ে ৯টার বাস বন্ধ করে দিয়েছি। ১০টার বাসে মাত্র চারজন যাত্রী হইছে।
‘এ রকম কখনো হয় নাই। ঈদের দুই দিন আগে আমরা যাত্রী নিতে পারি না। আর এখন ফাঁকা।’
জামালপুরের যাত্রী শাহীন মিয়া বলেন, ‘সাড়ে ৯টায় বাস ছিল। যাত্রীর অভাবে আধা ঘণ্টা দেরি করছে। বাসে তেমন একটা লোক নাই।
‘সকাল ৮টায় টার্মিনালে আসছি। তখন থেকেই ফাঁকা টার্মিনাল।’
জামালপুরগামী রাজিব এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারের সামনে গাড়ির স্টাফরা যাত্রীদের ডেকে ডেকে টিকিট বিক্রি করছিলেন। কথা বলতে গেলে হতাশার কথা জানান তারা।
টিকিট বিক্রেতা ইউনুস আলী বলেন, ‘জামালপুরের গাড়ি গেছে সকাল থেকে অনেক, তবে বেশিরভাগই ফাঁকা। সবারই এক অবস্থা। আমাদের এবার ঈদ নাই। এ রকম ঈদের অবস্থা আগে কখনো ছিল না।’
টার্মিনালে এনা পরিবহনের টিকিট কেটে ময়মনসিংহ যাওয়ার বাস ছাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। ভেবেছিলাম ঢাকায় ঈদ করব। পরে বাড়ির সবার পোশাক কিনে নিয়ে যেতে বলেছে। তাই যাচ্ছি। বাসে তো ভিড় নাই।
‘কালকে আমাদের রুটে জ্যাম থাকার কারণে ভালোই ভোগান্তি হইছিল, কিন্তু আজকে তেমন দেখতেছি না। আসার সঙ্গে সঙ্গে টিকিট পাইছি।’
ময়মনসিংহ রুটের বিষয়ে কথা হয় এনা পরিবহনের স্টাফ মো. সৈকতের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রাস্তায় যানজট ছিল। তাই মানুষের ভোগান্তি হয়েছে। গাড়ি পেতে দেরি হয়েছে। আজকে রাস্তা একদম ফাঁকা।
‘এই কারণে যাত্রীরাও আজকে আরামে যাচ্ছে। আজকে যাত্রীও কম সকাল থেকে। গাড়ির সিট ফিলআপ করার জন্য যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।’