মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট যাওয়ার পথে সোমবার গভীর রাতে ঝড়ের কারণে মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে ফেরি ‘ফরিদপুর’। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সেটিকে উদ্ধার করে মাঝিরঘাটে নেয় উদ্ধারকারী জাহাজ। সেখানে যানবাহন নামিয়ে ফেরিটি ফের শিমুলিয়া নেয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুর প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্বদিকের একটি চরে সোমবার রাত ৩টার দিকে আটকা পড়ে ফেরিটি। ঝোড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় এর সামনের অংশের র্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। র্যাম্পের কাছে ফেরিতে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উপমহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আলী আহমদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফেরিতে থাকা যাত্রী রাশেদুল আলম মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে জানান, শিমুলিয়া থেকে প্রায় ১৪টি ছোট-বড় যানবাহন ও ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে মাঝিরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ফেরি ফরিদপুর। রাত ৩টার দিকে মাঝ নদীতে ঝড়ের কবলে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝোড়ো বাতাসে কিছুটা পূর্বদিকে সরে গিয়ে একটি চরে আটকা পড়ে এটি।
ফেরি ফরিদপুরের মাস্টার শৈশব দে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসার ৩০ মিনিট পর ঝড়ের কবলে পড়ি। ঝড়ের ঘূর্ণি বাতাসে ফেরির নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়নি। এ সময় নদীতে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ফেরির সামনের অংশের ধাক্কা লাগে, র্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
‘পরে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায করে ফেরিটি পার্শ্ববর্তী একটি চরে নোঙর করে রাখি। নদীর অংশে পানির গভীরতা কম থাকায় ফেরিটি ডুবোচরে আটকা পড়ে। উদ্ধারকারী জাহাজ আনা হলেও নাব্য সংকটে জাহাজ ফেরির কাছে পৌঁছাতে পারেনি। সকাল ৬টার দিকে জোয়ারের কারণে নদীর পানি বাড়লে ফেরি চালিয়ে মাঝিরঘাটে নিয়ে আসি।’
বিআইডব্লিউটিসির মাঝিরঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, ফেরির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণে কাজ শুরু হয়েছে।
সংস্থাটির উপমহাব্যবস্থাপক আলী আহমদ জানান, ফেরিটি মাঝিরঘাটে যানবাহন নামিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে। মেরিন প্রকৌশলীরা সেটি সংস্কারে কাজ শুরু করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষে বহরে যুক্ত হবে ফেরি ফরিদপুর।