বগুড়ার ধুনটে ঈদ করতে বাড়ি যাওয়া পোশাকশ্রমিক ঝলকি বেগমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মারধরে আহত হয়েছেন তার স্বামী, ছেলে ও দেবর।
আহত ঝলকিকে রোববার রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান।
উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের পাগলা বেড় গ্রামের বেলা ২টার দিকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
নিহত ঝলকি ওই গ্রামের মোহন আকন্দের স্ত্রী। তিনি আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঈদের ছুটিতে তিনি দুই দিন আগে বাড়ি যান।
এসব ঘটনা নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম।
ঝলকির স্বামী মোহন ও ছেলে মিলন আকন্দ এখন শহীদ জিয়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। মোহনের চাচাতো ভাই মিজানুর আকন্দকে রাতেই চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মোহন নিউজবাংলাকে জানান, এলাকায় তিনি নার্সারির ব্যবসা করেন। পৈতৃক জমি নিয়ে তার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছে।
মোহন অভিযোগ করেন, রোববার দুপুরে চাচাতো ভাই বজলুর ও কামরুল গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে তার বাড়িতে যায়। তারা তাকে সমাজচ্যুত করার হুমকি দেয়। এ নিয়ে তর্কাতর্কির পর তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারতে থাকে। মোহনকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রী ঝলকি, ছেলে মিলন ও মোহনের পক্ষে থাকায় তার আরেক চাচাতো ভাই মিজানকেও মারধর করা হয়।
মোহন বলেন, ‘দুপুরে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে তারা মারধর করেন। ওরা প্রায় ৪০ জনের মতো এসেছিল। আমার বউকেও মেরে ফেলেছে।’
আহত মিজানের বাবা ও মোহনের চাচা ইউসুফ আলী জানান, গ্রামের একজন তাকে মারধরের খবর দেয়। তিনি গিয়ে আহত অবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। সেখানে ঝলকি মারা যান।
পুলিশ কর্মকর্তা শরাফত ইসলাম জানান, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে। ঝলকির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে।